অর্ণব আইচ: দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দাদের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায় তার নাম। বহুবার চেষ্টা করেও শেষ মুহূর্তে হাতের নাগাল ফসকে পালিয়েছে কুখ্যাত পাচারকারী। এবার আর রক্ষা হল না। কঠিন অপারেশনে পাচারকারীকে ধরে ফেললেন কলকাতার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা। আর তাকে জালে আনা বড় সাফল্য বলেই দাবি করছে NCB. তার সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার বোতল নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ অর্থাৎ মাদক।
এনসিবির কলকাতা শাখা সূত্রে খবর, ধৃতের নাম গৌতম মণ্ডল। তার বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ মাদক পাচারের ভুরি ভুরি অভিযোগ ছিল। শুধু তাই নয়, তাল তাল সোনাও সে পাচার করত বাংলাদেশে। কোটি কোটি টাকা সোনা পাচার সংক্রান্ত তিনটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ডিআরআই-এর নজরে দীর্ঘদিন ধরেই ছিল গৌতমের এসব কীর্তিকলাপ। তাকে নাগালে পেতে বহু ফাঁদ পাতা হয়েছে। কিন্তু এতদিন ধরা পড়েনি।
গোয়েন্দাদের কাছে গোপন সূত্রে এই খবরও ছিল যে উত্তরপ্রদেশ হয়ে বেআইনি পথে বাংলাদেশে চলত তার পাচারচক্র। বিশাল গ্যাং তৈরি করে ফেলেছিল গৌতম। তার প্রত্যেক সদস্যকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করেছিল যে কাজে একচুল ভুল হওয়ার উপায় ছিল না। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা দায়িত্ব ছিল। আর এভাবে বহুস্তরীয় ছকে বেআইনি কাজ করায় পুলিশের পক্ষে তাকে জালে আনা কিছুটা চ্যালেঞ্জের হয়ে ওঠে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর আড়ালে এভাবে পাচারচক্র চালিয়ে যেতে পারেনি গৌতম মণ্ডল। কলকাতার এনসিবি-র অপারেশনে ধরা পড়তেই হয় তাকে। গৌতম মণ্ডলের গ্রেপ্তারিকে বড়সড় সাফল্য বলেই দাবি করছেন গোয়েন্দারা। এনসিবি সূত্রে খবর, গৌতম একটি বড় পাচারচক্রের মাথা। তাই তার গ্রেপ্তারিতে মূল চক্রটিই ভেঙে ফেলা গিয়েছে। আরও বিশদে তদন্তের জন্য ডিআরআই, এসটিএফের সাহায্য নেবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।