সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদক কাণ্ডে এবার শাহরুখ খানের বাড়িতে হানা দিল এনসিবি। একদিকে আরিয়ান এখনও হেফাজতে, অন্যদিকে এই প্রথম এই ঘটনায় শাহরুখের মন্নতে পা দিল এনসিবি। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে চলছে তল্লাশি। বৃহস্পতিবার সকালে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আর্থার রোডের জেলে গিয়েছিলেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। জিন্স, টি-শার্ট পরেই জেলে পৌঁছন বলিউড বাদশা। চোখে তাঁর ছিল রোদ চশমা। বাইরে থেকে মুখের অভিব্যক্তি বোঝার উপায় নেই। ফটোশিকারিদের দিকে একবারও না তাকিয়ে সোজা জেলের অন্দরে ঢুকে যান শাহরুখ। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের পক্ষ থেকে শেয়ার করা হয়েছে সেই ভিডিও। ছেলে আরিয়ানের জামিনের শুনানি নিয়ে যখন গোটা দেশে জল্পনা, ঠিক তখনই কাহানি মে টুইস্ট। গোটা দেশে খবর ছড়িয়ে পড়ল, মন্নতে এনসিবি! ঘটনায় চাঞ্চল্য শুরু গোটা বলিউডে।
তবে শুধু শাহরুখ খানের বাড়িতে নয়। এদিন অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা অনন্যা পাণ্ডের বান্দ্রার বাড়িতেও পৌঁছল এনসিবি কর্তারা। সেখানেও চলছে তল্লাাশি। সমন পাঠানো অভিনেত্রীকে।
গতকাল আদালতে আরিয়ান ও এক উঠতি বলিউড অভিনেত্রীর হোয়াটসঅ্য়াপ চ্য়াট জমা দেয় । মাদক নিয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ চ্যাট করেন আরিয়ান খান। এই তথ্যই হাতে এসেছিল এনিসিবি কর্তাদের। যদিও চ্যাটের বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু বলেননি কর্তারা। কিন্তু একই দিনে মন্নতে এনসিবির হানা এবং অনন্য়া পাণ্ডেকে সমন পাঠানোর মধ্য়ে কি কোনও যোগসূত্র রয়েছে? শাহরুখপুত্রর সঙ্গে কি কোনও যোগ রয়েছে অভিনেত্রীর?জল্পনা তুঙ্গে বলিউডে।
[আরও পড়ুন: Aryan Khan Case: ছেলেকে দেখতে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে শাহরুখ খান]
গত ২ অক্টোবর রাতে মুম্বই থেকে গোয়াগামী বিলাসবহুল প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় (Cordelia Cruise) রেভ পার্টি আয়োজনের খবর পান এনসিবি আধিকারিকরা। সেই অনুযায়ী যাত্রী সেজে প্রমোদতরীতে ওঠেন তাঁরা। পার্টি শুরু হওয়ার পরই পুলিশ একে একে ১০ জনকে আটক করে। মাদক কাণ্ডে জেরা করা হয় আরিয়ান খানকেও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার পর গ্রেপ্তার হন শাহরুখপুত্র।
ছেলের গ্রেপ্তারির খবরে স্বভাবতই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন শাহরুখ (Shah Rukh Khan) ও গৌরী। নতুন ছবির শুটিং স্থগিত করেন কিং খান। গ্রেপ্তারির দিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় এনসিবি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখেন শাহরুখ। আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডেকে নিযুক্ত করেন তিনি। তা সত্ত্বেও জামিন পাননি আরিয়ান। সূত্রের খবর, তাতে কার্যত ক্ষুব্ধ কিং খান। তাই আরিয়ানের আইনজীবী বদল করেছেন তিনি। অমিত দেশাইকে নিয়োগ করা হয়েছে। সলমন খানের (Salman Khan) হিট অ্যান্ড রান মামলার আইনজীবী ছিলেন অমিত দেশাই (Amit Desai)। তাঁর তত্ত্বাবধানেই ২০১৫ সালের মে মাসে জামিনে মুক্তি পান ভাইজান। গত ১১ অক্টোবর তিনি আরিয়ানের জন্য আদালতে গিয়ে জামিনের আরজি দাখিল করেন। তিনি বলেন, ‘জামিনের আবেদন তদন্তের উপর নির্ভর করে না। এনসিবি (NCB) তদন্ত করতেই পারে। তবে প্রশাসনিক কারণে কোনও মুক্তি আটকাতে পারে না।’ তবে শাহরুখের বাড়িতে এনসিবি হানা দেওয়ার ঘটনায় মাদক কাণ্ডে নতুন কোনও রহস্য উদঘাটন হবে কিনা, তার দিকে তাকিয়েই গোটা দেশ।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ কি পাকিস্তান হয়ে উঠছে?’ ওপার বাংলার হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন অপর্ণা সেন]