কিংশুক প্রামাণিক: গোয়ায় (Goa) শক্তি বাড়াচ্ছে ঘাসফুল শিবির। কংগ্রেস, মহারাষ্ট্র গোমন্ত্রক পার্টির পর এবার এনসিপিতেও ভাঙন। সোমবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ার একমাত্র এনসিপি বিধায়ক চার্চিল আলেমাও (Churchill Alemao)। যোগ দিলেন তাঁর মেয়েও।
এদিন গোয়া (Goa) উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) , দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) -সহ একাধিক নেতা-নেত্রী। সেই সভায় তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন চার্চিল। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ২০১৪ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু পরাজিত হন। তার পরেও তৃণমূল ছেড়ে এনসিপি (NCP) -তে যোগ দেন। গত বিধানসভায় এনসিপির একমাত্র বিধায়ক হিসেবে জয় পেয়েছিলেন আলেমাও। এদিন এনসিপির গোয়া শাখা তৃণমূলের সঙ্গে মিলমিশে গেল বলেও জানালেন আলেমাও।
[আরও পড়ুন: Omicron: টিকার কার্যকারিতা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে ‘ওমিক্রন’, দাবি WHO’র]
জল্পনা অনেকদিন ধরেই চলছিল। গোয়ার অন্যতম ফুটবল ক্লাবের মালিক তথা এনসিপি বিধায়কের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার সেই জল্পনা সত্যি করে গোয়া বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেন আলেমাও। লেখেন, তিনি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। এবার থেকে তাঁকে যেন তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এদিন থেকে গোয়ায় দু’টি দল মিশে গেল। আলেমাওর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াকু নেত্রী। বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি লড়াই করেছেন। গোয়াতেও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন মমতা। আমি তাঁর পাশে আছি।” পরে বিকেলে জনসভায় তৃণমূল সুপ্রিমোর উপস্থিতিতে হাতে দলীয় পতাকা তুলে নেন আলেমাও।
[আরও পড়ুন: Omicron: টিকার কার্যকারিতা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে ‘ওমিক্রন’, দাবি WHO’র]
প্রসঙ্গত, তৃতীয়বার বাংলায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই সর্বভারতীয়স্তরের রাজনীতিতে মাটি শক্ত করতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরা, গোয়া, হরিয়ানাতে শাখা তৈরি হয়েছে দলের। ইতিমধ্যে গোয়ায় সফরও সেরেছেন। সেই সফরে লাকি আলি, নাফিসা আলি, লিয়েন্ডার পেজের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে শামিল হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরোও। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল চার্চিল আলেমাও-র।