সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৪ থেকে ২০১৫- এই সময়কালের মধ্যে বিত্তে ফুলেফেঁপে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু মোট আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে উৎসের কোনও হদিশ মিলছে না। দিল্লির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের সমীক্ষায় উঠে এল এমনই তথ্য।
ভোটের কাছে মহিলাদের মর্যাদাও তুচ্ছ, নেতার মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়
সাধারণত ২০,০০০ টাকার বেশি কোনও অনুদান দলগুলিকে চেক মারফত নিতে হয়। সেক্ষেত্রে তা করের আওতায় পড়ে না। এই অঙ্কের নিচে নেওয়া সমস্ত অনুদানের হিসেব রাখতে হয়। পার্টির সম্পত্তি বিক্রি, লেভি, দলীয় মুখপত্রের বিক্রিবাবদ উপার্জন, সদস্যদের চাঁদা- এগুলোকেই যে কোনও রাজনৈতিক দলের আয়ের জ্ঞাত উৎস হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু সমীক্ষা দেখাচ্ছে, জাতীয় ও আঞ্চলির দলগুলির আয় যে হারে বেড়েছে, সে হারেই অন্ধকারে ডুবেছে আয়ের উৎস। এই তালিকায় শীর্ষে আছে জাতীয় কংগ্রেস। বিগত এক দশকে দলের মোট আয়ের ৮৩ শতাংশেরই উৎস নিয়ে ধোঁয়াসা আছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে বিজেপি। এক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ আয়ের উৎস জানা যাচ্ছে না।
এবার ৫০ হাজার টাকা তুললেও দিতে হবে কর!
এদিকে মায়াবতীর বিএসপি ধারাবাহিকভাবে জানিয়ে গিয়েছে, ২০,০০০ টাকার বেশি কোনও অনুদান তারা নেয় না। ফলে দলের পুরো আয়ই বেনামি উৎস থেকে এসেছে। তালিকায় আছে মুলায়মের সমাজবাদী পার্টিও।
নির্বাচনে জিতলেই অযোধ্যায় হবে রাম মন্দির, ঘোষণা বিজেপির
সমীক্ষার রিপোর্টে জানা যাচ্ছে। বিগত এক দশকে রাজনৈতিক দলগুলির উপার্জন বেড়েছে প্রায় ৩০০-৬০০ শতাংশ। নতুন বছরের মুখে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীল এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের উপার্জনের বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার কথা বলেছিলেন। এই সমীক্ষার পর, দলগুলির উপার্জনের যথাযথ হিসেব জমা দেওয়ারও দাবি উঠেছে, যাতে তা করের আওতাভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।
ভারত প্রকৃত বন্ধু, ফোন করে মোদিকে বার্তা ট্রাম্পের
The post রাজনৈতিক দলগুলির প্রায় ৬৯% আয়ের উৎসই ভূতুড়ে! appeared first on Sangbad Pratidin.