সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ বছরের বিজেপি-রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে দিল্লি পুরনিগমের ক্ষমতা দখল করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। এই প্রথমবার কোনও নির্বাচনে বিজেপিতে উৎখাত করে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠানের নজির গড়ল আম আদমি পার্টি। আর ঐতিহাসিক জয়ের পরই কেজরি বললেন, “প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চাই।”
ভোটার ও দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমিও আপনাদের ভালবাসি।” প্রথমবার দিল্লিতে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ল আপ (AAP)। তবে রাজধানীর উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য অবশ্যই চাই বলেই মনে করেন কেজরি। আর সেই কারণেই জয়ের পর বলে দিচ্ছেন, “কেন্দ্রের সাহায্যের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চাই।” এরপরই যোগ করেন, “আমি সমস্ত পার্টি আর প্রার্থীদেরই বলব, অনেক রাজনীতি হয়েছে। এবার একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। বিজেপি এবং কংগ্রেসকে আমরা আমাদের পাশে চাই। একসঙ্গে আমরা দিল্লিকে আরও উন্নত করে তুলব।”
[আরও পড়ুন: মরক্কোর ঐতিহাসিক জয়ে উচ্ছ্বসিত নোরা ফাতেহি, বেলি ডান্স করে চলল সেলিব্রেশন]
মহিলাদের সঙ্গে সুলভ শৌচালয়, স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা, স্কুল থেকে হাসপাতালের উন্নতিসাধনের মতো বিভিন্ন কাজের জন্যই জনতা আপকে ভোটে জিতিয়েছে বলে দাবি করেন কেজরি (Arvind Kejriwal)। বলেন, “হাসপাতাল, স্কুলের উন্নতির জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছি আমরা। এবার জনতা আমাদের দিল্লিকে দুর্নীতি মুক্ত করার দায়িত্ব দিয়েছে।” দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “এই জয় নিয়ে অহংকার করলে চলবে না। ঔদ্ধত্য মানুষের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মানুষ ক্ষমা করে দিলেও ঈশ্বর করবেন না।”
২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে আপ জয়ী ১৩৪ আসনে। সেখানে বিজেপির দখলে ১০৪টি আসন। কংগ্রেস ৯ এবং অন্যান্যরা পেয়েছে তিনটি আসন। দিল্লির প্রায় ৯৪ শতাংশ এলাকা পুরনিগমের অধীনে। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লির শাসনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিধানসভার মতো পুরনিগমের নির্বাচনও ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানেই পদ্মশিবিরের দেড় দশকের শাসনে ইতি ঘটিয়ে নয়া পথচলা শুরু আপের।