সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবারই ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে চিরনিদ্রায় গিয়েছেন ঋষি কাপুর। তাঁর মতো বলিউডের প্রবাদপ্রতীম অভিনেতার শেষযাত্রায় যেখানে কাতারে কাতারে মানুষের ঢল নামবার কথা ছিল, লকডাউনের জন্য সেটাও সম্ভব হয়নি। স্ত্রী নীতু, পুত্র রণবীর-সহ পরিবারের মাত্র ২০ জন সদস্যের উপস্থিতিতে শশ্মানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ‘প্রিয় চিন্টু’র শেষযাত্রায় শামিল হতে না পারার আক্ষেপ বুকে বয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁর ঘনিষ্ঠমহল। ঋষি-ঘনিষ্ঠরা বলছেন, “বড় নির্জনেই চলে গেল তার মতো অভিনেতা”। আর সেই জন্যই শনিবার কৃষ্ণারাজ কাপুর ম্যানশনে, নিজেদের বাসস্থানেই প্রয়াত ঋষির উদ্দেশে স্ত্রী নীতু এবং ছেলে রণবীর কাপুর এক স্মরণসভার আয়োজন করেছিলেন। সেই শোকসভারই এক ছবি এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গাঁদা ফুলের মালা পড়ানো ঋষি কাপুরের ছবি। তার পাশে ছোট একটি গণেশমূর্তি। ভাইরাল হওয়া সেই ছবিতে দেখা গেল ঋষির ছবির একদিকে বসে রয়েছেন নীতু কাপুর। আর অন্যদিকে ছেলে রণবীর কাপুর। নীতু কাপুরের পরনে ছিল সাদা সালোয়ার। আর রণবীরের পরনে পাঞ্জাবি, মাথায় পাগড়ি এবং কপালে তিলক। তবে কাপুরদের এই স্মরণসভা একান্ত পরিবারের সদস্যদের জন্যই ছিল। এবং তাঁদের উপস্থিতিতেই হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ঋষি কাপুরের একমাত্র মেয়ে রিধিমা শনিবার তখনও এসে পৌঁছতে পারেনি। ফলে স্মরণসভাতেও যোগ দিতে পারেননি তিনি। বাবার শেষকৃত্যের দিনও ভাই রণবীরের বান্ধবী আলিয়া ভাটের ভিডিও কলেই সবটা দেখেছেন। তবে এদিন স্মরণসভার পর সন্ধেবেলাই কাপুর বাংলোতে এসে পৌঁছন রিধিমা কাপুর সাহানি। সঙ্গে ছিল মেয়ে সামারা। এই কঠিন সময়ে ভাই এবং মা’র পাশে থাকবে বলে।
[আরও পড়ুন: জ্যাকলিনের ভোঁতা সংলাপ ও অভিনয়, জমল না ‘মিসেস সিরিয়াল কিলার]
প্রসঙ্গত, ঋষির চলে যাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন বার্তা দিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন নীতু। হুইস্কির গ্লাস হাতে আমুদে ঋষির মুখে সেই চিরসবুজ হাসি, এভাবেই নীতুর ছবিতে ফুটে উঠল অতীতের রঙিন মুহূর্ত। ‘এখানেই আমাদের গল্প ফুরলো’, ক্যাপশনে লিখেছেন নীতু কাপুর। আসলে যাঁকে সবসময়ে চোখে চোখে রাখতেন, খেয়াল রাখতেন সেই মানুষটিই তো নেই আর! স্মরণসভার ছবিতেও নীতুর সেই শোক ফুটে উঠল।
[আরও পড়ুন: ১৪ হাজার কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে অবশেষে ঋষি-শূন্য কাপুর বাংলোয় পৌঁছলেন মেয়ে রিধিমা]
The post কাপুর বাংলোতেই ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে ঋষির স্মরণসভা, আয়োজনে নীতু-রণবীর appeared first on Sangbad Pratidin.