সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনে হচ্ছে আমার মা-ই চলে গেলেন- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মা হীরাবেনের মৃত্যুর পরে এমনটাই মনে করছেন তাঁর প্রতিবেশীরা। মৃত্যু পর্যন্ত গান্ধীনগরের বাসিন্দা ছিলেন হীরাবেন। প্রতিবেশীদের মতে, তিনিই ছিলেন ওই এলাকার রাজমাতা। শুক্রবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রীর মা। শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে গুজরাট পৌঁছন মোদি। তারপর থেকেই শোকে ডুবে রয়েছে গান্ধীনগরের বৃন্দাবন বাংলো এলাকা।
ছোট ছেলে পঙ্কজ মোদির সঙ্গে গত সাত বছর ধরে গান্ধীনগরে থাকতেন হীরাবেন। সকলের প্রিয় ‘হীরাবা’র মৃত্যুর পরে প্রতিবেশীরা বলছেন, “সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন তিনি। যাবতীয় উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন।” কীর্তিবেন প্যাটেল নামে একজনের মতে, ” প্রায় সাত বছর ধরে আমাদের সঙ্গে থাকতেন হীরাবা। প্রতিদিনই তাঁর সঙ্গে দেখা হত আমাদের। একেবারে মাটির মানুষ ছিলেন তিনি। মনে হচ্ছে আমার নিজের মা-কেই হারালাম। আমাদের সকলের রাজমাতা ছিলেন তিনি।”
[আরও পড়ুন: রাম ও হনুমানের পুজো বিজেপির কপিরাইট নয়, বিস্ফোরক উমা ভারতী]
একই সুর আরেক বাসিন্দা রমেশ প্রজাপতির গলায়। তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর মা হয়েও খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন হীরাবা। সকলের সঙ্গে মিলেমিশে সাধারণ ভাবে থাকতেই পছন্দ করতেন তিনি। বিশেষত হীরাবেন চাইতেন, দরিদ্র মানুষের প্রতি সকলে যেন সহানুভূতিশীল হন।” ওই সোসাইটির চেয়ারম্যান হসমুখ প্যাটেল বলেছেন, “হীরাবা এখানে আমাদের সঙ্গে থাকতেন, সেটাই খুব গর্বের। আজকের দিনটা শুধু আমার নয়, এই এলাকার সকলেই শোকে মূহ্যমান। হীরাবার সঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়েছি, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”
গত বুধবার ইউএন মেহতা ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের মতো সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদি (Heeraben Modi)। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় সুস্থ রয়েছেন তিনি। তবে শুক্রবার ভোররাত ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে হীরাবেন মোদির। নিজের কাঁধে মায়ের দেহ নিয়ে শববাহী সকট পর্যন্ত পৌঁছন মোদি। সকাল ১০টায় গান্ধীনগরে হীরাবেনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।