অর্ণব আইচ: অমানবিক ঘটনার সাক্ষী খাস কলকাতা। বড়বাজারের নন্দরাম মার্কেট লাগোয়া এলাকায় পাঁচতলা বারান্দা থেকে তিন শিশুকে ছুঁড়ে ফেলে দিল এক প্রতিবেশী। মূলত বারান্দায় খেলা নিয়ে বচসার জেরে এমন নারকীয় কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। তিনজনের মধ্যে বছর দেড়েকের এক শিশুও ছিল। পাঁচতলার বারান্দা থেকে পড়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় তার। বাকি দুই শিশুর মধ্যে একজন টিনের চালে পড়ে বেঁচে যায়। আরেকজনকে ছুঁড়ে ফেলতে গেলেও তাকে ধরে ফেলেন তাঁর মা। ইতিমধ্যেই শিবকুমার গুপ্তা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বড়বাজার থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে হোমিসাইড শাখা।
বড়বাজারে পুরনো একটি বাড়ির ছ’তলায় শিবকুমার গুপ্তা ও বুধন সাহু পাশাপাশি দুটি ঘরে থাকত। বুধনের পাঁচ বছর বয়সি ছোট ছেলে শিবম, পাঁচ বছর বয়সি নাতি বিশাল, আরেক আত্মীয়র সন্তান প্রতিদিনের মতো বারান্দায় বসে খেলা করছিল। খেলা করতে করতে চিৎকার করছিল তারা। অভিযোগ, শিবকুমার গুপ্তা তাতে আপত্তি করে। নিচে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেয়। এরপরই মাথার ঠিক রাখতে পারেনি শিবকুমার। কিছু বুঝে ওঠার আগে আচমকাই তিন শিশুকে পাঁচতলা বারান্দা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রথমে শিবম, বিশাল ও পরে ওই আত্মীয়র সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। পড়া মাত্রই বছর দেড়েকের শিবমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। সে সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়। বিশাল টিনের চালে আটকে যায়। তাই সে নিচে পড়েনি। সে কারণেই কোনও চোটাঘাত পায়নি। আরেকটি শিশুকে তার মা ধরে নেন। তাই তারও চোট লাগেনি।
[আরও পড়ুন: ১০০ থেকে এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, বইপাড়ার পুনরুদ্ধারে শামিল সাংসদ-সাহিত্যিকরা]
এরপরই প্রতিবেশীরা শিবকুমারকে ঘিরে ধরে। মারধরও করতে শুরু করেন তাঁরা। তবে ইতিমধ্যেই বড়বাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শিবকুমারকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা। প্রতিবেশীদের দাবি, পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না শিবকুমারকে। গণপিটুনিই তার উপযুক্ত শাস্তি। যদিও পরে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে শিবকুমারকে উদ্ধার করে।
[আরও পড়ুন: করোনা সন্দেহে ভরতি রোগীর মৃত্যুর পর লালারস পরীক্ষা নয়, নয়া সিদ্ধান্ত NRS-এর]
The post ‘সবাইকে শেষ করব’, হুমকি দিয়ে বড়বাজারে ৫ তলার বারান্দা থেকে ছুঁড়ে ফেলে শিশুকে খুন প্রতিবেশীর appeared first on Sangbad Pratidin.