shono
Advertisement

সমঝোতার পথে ওলি, অচলাবস্থা কাটাতে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা তৈরি করেছিলেন ওলি।
Posted: 09:22 AM Dec 22, 2020Updated: 09:22 AM Dec 22, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা (China) চক্রান্তে ভারতের বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। লিপুলেখ নিয়ে অযথা উত্তেজনা তৈরি করে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু নয়াদিল্লির কড়া অবস্থান ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চাপে মাথা নুইয়ে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। এবং নিজেই সেই কথা জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নতুন করোনার সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি, আতঙ্কের মধ্যেই আশ্বস্ত করল WHO]

গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী ওলির সুপারিশ মেনে নেপালের জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। ঘোষণা করেন পরবর্তী নির্বাচনের দিনও। একতরফাভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া নিয়ে রীতিমতো অসস্তুষ্ট ওলির দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। ওলি মনে করেন, তাঁর দলে এখন অন্তর্কলহ চরমে উঠেছে। যে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও আনা সম্ভব হবে না। তবে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়াকে ‘সাংবিধানিক আঘাত’ হিসেবে দেখছেন ওলির বিরোধীরা। নেপাল প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিত সোমবার ওলি জানিয়েছেন, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। নিজের ক্যাবিনেটের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান ওলি।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, কয়েকদিন আগেই নেপাল (Nepal) সফরে গিয়েছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। সেখানে ওলির বাসভবনে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানে একাধিক ইস্যুতে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। তারপর থেকেই কিছুটা বরিফ গলতে শুরু করে। সম্প্রতি, ভারতীয় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) বিপিন রাওয়াত কাঠমান্ডুকে সতর্ক করে বলেন, চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করার আগে শ্রীলঙ্কাকে দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত নেপালের।সব মিলিয়ে রীতিমতো কূটনৈতিক চাপ তৈরি করছে ভারত। উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ থেকে মানস সরোবর পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে ভারত। এরপরই সমস্যা তৈরি করে নেপাল। লিপুলেখ ও কালাপানি-সহ তিনটি ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করে বিতর্কিত একটি মানচিত্র বানিয়ে ফেলে। এমনকী এর জন্য দেশের সংবিধানে সংশোধন করে কাঠমাণ্ডু। এই টানাপোড়েনের সময়ই নেপালের এই আচরণ অন্য কারও ইশারায় বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান নারাভানে। পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন নেপালের বিদেশমন্ত্রীও। নেপালের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অপমান করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

[আরও পড়ুন: তাইওয়ান প্রণালীতে চিনা নৌবহর, পালটা রণতরী মোতায়েন করল তাইপেই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement