সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে অতিমারী, তার উপর দেশে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অথচ, সেই অতিমারীর (Coronavirus) বছরেই কেন্দ্রের রাজস্ব ভাগ বাবদ গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা পেয়েছে রাজ্যগুলি। সোমবার সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অন্তত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। সোমবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) জানান, ২০২০-২১ সালে অর্থাৎ গতবার কেন্দ্রীয় করের ভাগ হিসেবে রাজ্যগুলি পেয়েছে ৫.৯৫ লক্ষ কোটি টাকা। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, এই সংখ্যাটা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
মজার কথা হল, গতবছরই কেন্দ্রের রাজস্ব আদায় হয়েছে সবচেয়ে বেশি। কোভিডের বছর কর্পোরেটদের স্বস্তি দিতে কর্পোরেট করে অনেকটাই ছাড় দিয়েছিল কেন্দ্র (Centre)। অর্থমন্ত্রকের দাবি ছিল, কর্পোরেটদের কর কম নিলে তারা বাজারে বেশি টাকা ঢালবেন, তাতে অর্থনীতির গতি বাড়বে। কিন্তু কর্পোরেট করের সেই ঘাটতি পুষিয়ে গিয়েছে উৎপাদন শুল্ক এবং ব্যক্তিগত করের টাকায়। গতবছর কর্পোরেট করের তুলনায় ব্যক্তিগত আয়কর থেকে বেশি রাজস্ব এসেছে। সব মিলিয়ে করোনার বছরে কেন্দ্রের রোজগার বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। অর্থমন্ত্রীর (Ministry of Finance) পেশ করা হিসাব অনুযায়ী, কেন্দ্রের রাজস্ব আদায় কোভিডের বছরে ১৪.২৪ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। এর একটা বড় অংশ এসেছে পেট্রল-ডিজেল থেকে নেওয়া উৎপাদন শুল্ক থেকে। গতবছর ৩.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা পেট্রল-ডিজেল (Diesel) থেকে শুল্ক আদায় করেছে কেন্দ্র। যা কিনা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
[আরও পড়ুন: Assam-Mizoram Conflict: আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাতে Aizwal যাচ্ছেন অসমের দুই মন্ত্রী]
অথচ, সে বছরই রাজ্যগুলি করের ভাগ বাবদ পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা পেয়েছে। কেন্দ্রের হিসাব বলছে, ২০২০-২১ সালে কেন্দ্রীয় করের ভাগ হিসেবে রাজ্যগুলি পেয়েছিল ৫.৯৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা কিনা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই অতিমারীর বছরই রাজ্যগুলি আলাদা করে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে সাহায্য করার বদলে শুল্কর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সেস বাড়িয়েছে। যার ফলে রাজ্যের ভাগে রাজস্বের অংশ আগের তুলনায় কমে গিয়েছে।