গোবিন্দ রায়: নেতাই গণহত্যা মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম (CPM) নেতা রথীন দণ্ডপাট। সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC) তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছে। ২০১১ সালে নেতাইয়ে গণহত্যার সময় রথীনের বাড়ি থেকেই গুলি চলেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৪ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই (CBI)। এতদিন জেলবন্দি ছিলেন রথীন দণ্ডপাট। জামিনের আবেদনও করেছেন একাধিকবার। যেহেতু ইতিমধ্যে এই মামলার প্রয়োজনীয় নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়াও অনেকটা এগিয়েছে, তাই জামিনের (Bail) আবেদন মঞ্জুর করল আদালত।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। ঝাড়গ্রামের লালগড়ের (Lalgarh) নেতাইয়ের গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। সেখানকার সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালানো (Shootout) হয়। গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে মারা যান ৯ জন। আহত ২৮ জন। আরও অভিযোগ, রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতে আসলে আশ্রয় নিয়েছিল সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী। তারাই গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালিয়েছে। তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। পরবর্তীতে মে মাসে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পিছনে নেতাই গণহত্যাও দায়ী বলে মনে করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই ঘটনার প্রায় দুবছর পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর স্বীকারোক্তি ছিল, ”নেতাইয়ে গুলি চালানো ভুল হয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: বিমান ছাড়তে দেরি, ঘোষণা শুনেই পাইলটের মুখে সজোরে ঘুসি যাত্রীর! ভাইরাল ভিডিও]
এই ঘটনার তিন বছর পর ২০১৪ সালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন রথীন দণ্ডপাট। এতদিন বিচারাধীন বন্দি ছিলেন। বার বার জামিনের আবেদন করলেও খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন। জানানো হয়, নেতাই গণহত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া এগিয়েছে। সেই কারণে রথীন দণ্ডপাটকে জামিন দেওয়া হল।