সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হরি ওম’ লেখা পাজামা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছিলেন মাত্র! ব্যাস, অমনি রাগে অঙ্কিতা লোখাণ্ডের (Ankita Lokhande) দিকে রে-রে করে উঠলেন নেটজনতার একাংশ। হিন্দু ধর্ম অনুসারে ‘হরি ওম’ পবিত্র একটি শব্দ। ঈশ্বরের মন্ত্রজপ করার সময়ে এই শব্দ প্রয়োগ করা হয়, আর হিন্দু ধর্মের জন্য পবিত্র সেই শব্দটি নিয়েই কিনা ছিনিমিনি খেলছেন অভিনেত্রী? “এ তো ঘোর অসম্মান..!” বলছেন নেটিজেনরা। অতঃপর বর্তমানে জোর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অঙ্কিতা লোখাণ্ডেকে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর পর থেকেই প্রাক্তন প্রেমিকা হিসেবে খবরের শিরোনামে অঙ্কিতা লোখাণ্ডে। ‘হরি ওম’ লেখা এই পাজামা দেখে অবশ্য সেই আবেগ কাজ করেনি নেটজনতাদের। ডান-বা না দেখেই একের পর এক মন্তব্যবাণে বিঁধে চলেছেন অঙ্কিতাকে। “ওম শব্দ লেখা কোনও পোশাকই শরীরের নিচের অংশে পড়া অনুচিত..” বলছেন নেটজনতারা। কেউ বা আবার এও বলেছেন যে, “ম্যাডাম আপনার সঙ্গে আমার কোনও শত্রুতা নেই, কিন্তু দয়া করে এই ধরণের কোনও পোশাক পরবেন না.. আসলে ওম শব্দটি আমাদের হিন্দুদের কাছে ভীষণই পবিত্র। আপনার এই প্রিন্ট ভাল লাগলে আপনি এধরণের কুর্তা পরুন, পাজামা কেন?” অঙ্কিতা অবশ্য নির্বিকার। কোনও জবাব দেননি এই নিয়ে।
[আরও পড়ুন: মহালয়ায় ‘লাস্যময়ী’ মা দুর্গা সেজে সোশ্যাল মিডিয়ার রোষানলে অভিনেত্রী নুসরত জাহান]
প্রসঙ্গত বড় পর্দায় অঙ্কিতার ছবি বলতে শুধু কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে ‘মণিকর্ণিকা’। তারপর আর সেভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে সেই অভিনেত্রীকে নিয়েই আলোচনার অন্ত নেই! নেপথ্যে অবশ্যই সুশান্ত ইস্যু। কারণ দীর্ঘ ৬ বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁর সঙ্গে সুশান্তের, কিন্তু বড় পর্দায় পা জমাতেই অভিনেতার সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। তবে ১৪ জুনের পর থেকে বিগত তিন মাস ধরে প্রায় রোজই খবরে থাকছেন অঙ্কিতা। দিন দুয়েক আগেই ফারহান আখতারের প্রেমিকা শিবানি দান্দেকরকে একহাত নিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তীর সমর্থনে মুখ খোলার জন্য। এবার সেই অভিনেত্রীই নেটজনতার ঘোর সমালোচনা মুখে পড়লেন। কারণ? ‘হরি ওম’ লেখা প্রিন্টেড পাজামা পরে একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন মাত্র!
[আরও পড়ুন: মহালয়ায় শিবু-নন্দিতার ‘ফাটাফাটি’ চমক, বডি শেমিং-কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে নয়া ছবির ঘোষণা উইন্ডোজের]
The post ‘হরি ওম’ লেখা পাজামা পরে হিন্দু ধর্মকে অপমান? নেটজনতার রোষে অঙ্কিতা লোখাণ্ডে appeared first on Sangbad Pratidin.