সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার মাঝরাতে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন ইমরান খান (Imran Khan)। শেষমুহূর্ত পর্যন্ত গদি আঁকড়ে ধরার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনি। ‘নিরপেক্ষ সেনাবাহিনী’ ও মারমুখী বিরোধীদের চাপে গর্জালেও বর্ষাতে পারলেন না আইএসআইয়ের ‘ফলেন অ্যাঞ্জেল’। তবে এখনও হাল ছাড়তে নারাজ তিনি। রবিবার রাতে ইমরানের ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের রাজপথে নেমে পড়েন তাঁর হাজার হাজার সমর্থক। আর এই ঘটনায় আপ্লুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসার অভাবে কোভিডের চেয়েও বেশি মৃত্যু হতে পারে শ্রীলঙ্কায়, আশঙ্কা ডাক্তারদের]
সোমবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পাকিস্তান তেহরিক-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান লেখেন, “এহেন জনসমুদ্র কখনও দেখিনি। এতেই বোঝা যায় মানুষ জালিয়াতদের আমদানি করা বিদেশি সরকারকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। স্থানীয় মিরজাফরদের দ্বারা তৈরি মার্কিন মদতপুষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সকল পাকিস্তানি নাগরিককে ধন্যবাদ। মিরজাফররা জামিনে মুক্ত জালিয়াতদের ক্ষমতায় বসাতে চলেছে। বলে রাখা ভাল, রবিবার রাতে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে ইমরান খানের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। মশাল হাতে ইসলামাবাদ, করাচির মতো শহরের রাজপথে নেমে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মূল্যবৃদ্ধি ও আর্থিক দুর্নীতির জেরে অনেকেই ইমরান খানকে দুষছেন। কিন্তু অনেকেই আবার আমেরিকার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় ইমরানকে নায়ক বলে মনে করছেন। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার জেরে ওয়াশিংটনই যে কলকাঠি নেড়ে ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে সেই কথা বিশ্বাস করেন পাকিস্তানি যুবসম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ।
উল্লেখ্য, লড়াই যে শেষ হয়নি সেই ইঙ্গিত দিয়ে রবিবার বিকেলে টুইট করেন সদ্য ক্ষমতা হারানো রাষ্ট্রনেতা। ডাক দেন দেশের জন্য নতুন স্বাধীনতা আন্দোলনের। ক্ষমতা হারানোর পরে শনিবার রাত থেকে রবিবার সারা দিন প্রকাশ্যে আসেননি ইমরান। আস্থা ভোটে হারের পরও টুইটারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। কোনও বার্তা দেননি দেশবাসীর উদ্দেশেও। ফলে ইমরানকে নিয়ে ক্রমশ জল্পনা বাড়ছিল। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। এবং তাঁর গদি হারানোর পিছনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথাই ফের শোনা গেল তাঁর মুখে। এর আগেও ইমরান ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে বৈদেশিক শক্তি। এমনকী, একবার তিনি আমেরিকার নামও নিয়ে ফেলেন। তাঁর অভিযোগ, আমেরিকাই কলকাঠি নাড়ছে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে। এবার ফের সেই ইস্যুতেই সরব হলেন তিনি।