নব্যেন্দু হাজরা: শীতকালেই গঙ্গাবক্ষে নামছে দূষণহীন ২২টি নয়া জলযান। ৮০ ও ১০০ আসন বিশিষ্ট এই ভেসেলগুলো ঘাট পারাপার করবে। স্থানীয় সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে ভেসেলগুলোর নামকরণ করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে ৯টি অত্যাধুনিক জেটিও তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিও উদ্বোধন হবে একইসঙ্গে।
সড়ক পরিবহণের পাশাপাশি জল পরিবহণকে সাজানোর উপও জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। হচ্ছে জেটির আধুনিকীকরণ, নামছে নতুন ভেসেল। জলপরিবহণের প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়লে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও কমবে। সেক্ষেত্রে কমবে দূষণও। ভবিষ্যতে ই ভেসেল বা বৈদ্যুতিক জলযান নামানোরও কথা দপ্তরের।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, নতুন এই ভেসেলগুলোতে থাকছে বায়ো টয়লেটও। তাছাড়া এমনভাবে এগুলো বানানো হয়েছে তা থেকে কোনওভাবেই জল দূষিত হবে না। যাবতীয় বর্জ্য জমা হবে একটা জায়গায়। ঘাটে এসে তা পরিষ্কার করা যাবে।
[আরও পড়ুন: লটারি কাণ্ডের তদন্তে তৎপর CBI, অনুব্রতকে জেরা করতে আসানসোল জেলে আধিকারিকরা]
বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় জলপরিবহণকে সাজাতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। এই জলযানগুলো কেনা তারই অঙ্গ। এছাড়া সাজছে জেটিও। আপাতত গৌড়হাটি, রাসমণি ঘাট, গাদিয়াড়া, আউট্রাম ঘাট, বাঁশবেড়িয়া, দেবিতলা-র মতো জেটিগুলো নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। লেগেছে আলো। বসেছে স্মার্ট কার্ড গেট, বানানো হয়েছে শৌচালয়ও। দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, হুগলির ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নূরপুর পর্যন্ত জায়গার মধ্যে নতুন ভেসেলগুলি বিভিন্ন ঘাটের মধ্যে চলাচল করবে। একেকটি জলযান কিনতে খরচ পড়েছে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা করে। মোট ২০০ কোটি টাকা এই খাতে খরচ করা হবে বলে জানান দপ্তরের কর্তারা।
তাঁদের কথায়, যে ভেসেলগুলো এখন চলছে সেগুলোর নামও মুখ্যমন্ত্রীরই দেওয়া। আর এবার বাকি যেগুলো গঙ্গায় নতুন নামবে, সেগুলোর নাম ঠিক করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে যে এলাকায় এই ভেসেলগুলো চলবে নামকরণের ক্ষেত্রে সেখানকার স্থানীয় সংস্কৃতির কথাও মাথায় রাখা যাবে। যে ফেরিঘাটগুলোর আধুনিকীকরণ হচ্ছে, সেগুলোতে বসবে স্মার্টকার্ড গেট। গঙ্গাদূষণ কমাতে ভবিষ্যতে ই-ভেসেল বা বৈদ্যুতিক জলযান নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। তাছাড়াও দূষণ যাতে না ছড়ায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই নতুন জলযানগুলো নামানো হচ্ছে।