নিরুফা খাতুন: এক সপ্তাহের মধ্যে আলিপুর চিড়িয়াখানার (New Alipur Zoo) তিন আবাসিকের কপালে জুটল অভিভাবক। সৌজন্য, দত্তক প্রথা। করোনা আবহে চিড়িয়াখানায়া লকডাউন (Lockdown) থাকলেও এই প্রক্রিয়ায় কাজ চলছেই।আর তারই দৌলতে এক সপ্তাহের মধ্যে চিড়িয়াখানার একটি হলুদ অ্যানাকোন্ডা, একটি বাঘরোল ও একটি প্যাঙ্গোলিন দত্তক দেওয়া হল।
২০১৯ সালে মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাংক থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় চারটি হলুদ অ্যানাকোন্ডা (Anaconda) আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে এই প্রথম একজন অভিভাবক পেল। একটি অ্যানাকোন্ডা দত্তক নিতে বার্ষিক খরচ পড়ে পনেরো হাজার টাকা। সম্প্রতি এ ব্যাপারে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পারভেজ রসুল নামে কলকাতারই এক বাসিন্দা। হাতি, বাঘ, সিংহ হোক বা পাখি, সাপ। কড়ি ফেললেই যাকে ইচ্ছে দত্তক নেওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন: মুনমুন সেনের বালিগঞ্জের বাড়িতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, গ্রেপ্তার ৪]
জীবজন্তুদের প্রতিপালনের মান বাড়াতে এবং মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীদের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই প্রথা চালু করেছিল আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত বছর লকডাউনের পর সেভাবে সাড়া মিলছিল না। চিড়িয়াখানার বাসিন্দাদের দত্তক নিতে কেউ এগিয়ে আসেননি সেভাবে। গত বছর চিড়িয়াখানায় লকডাউনের পর দুটি শিম্পাঞ্জি, একটি জিরাফ ও একটি মেছো বিড়াল দত্তক নেওয়া হয়েছিল।
তবে এ বছর অনলাইনে প্রক্রিয়াটি ফের চালু হতেই ব্যাপক সাড়া মিলছে। লকডাউনের মধ্যেও প্রাণীদের দত্তক নিতে অনেকে এগিয়ে এসেছেন। কিছুদিন আগে একটি প্যাঙ্গোলিন দত্তক নিয়েছেন আর্য মজুমদার, ৩০ হাজার টাকার বার্ষিক চুক্তিতে। অতনু মাজি দত্তক নিয়েছেন একটি মেছো বিড়াল, তারও বার্ষিক খরচ ৩০ হাজার টাকা। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত বলেন, ”নতুন করে দত্তক প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হতেই ভাল সাড়া মিলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে চিড়িয়াখানার তিনটি প্রাণী দত্তক নেওয়া হয়েছে। এই প্রথম অ্যানাকোন্ডা দত্তক নেওয়া হল।” এই মাসেই দু’টি হাতিও অভিভাবক পাবে বলে তিনি জানান।এর আগে চিড়িয়াখানার পাঁচটি রয়্যাল বেঙ্গল দত্তক নেওয়া হয়েছে।