সুব্রত বিশ্বাস: ট্রেনে গতি আনতে চতুর্থ লাইন তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়েও বাধার মুখে পড়ছেন কর্মীরা। চুরি যাচ্ছে কেবল। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নির্মাণকারী সংস্থা। ধরপাকড় করেও কোনও লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে মির্জাপুর ও চন্দনপুরের মাঝে কর্ড (Chord line) শাখার চতুর্থ লাইন তৈরিতে অনেকটাই দেরি হচ্ছে।
কর্ড শাখার লোকাল ট্রেনের গতি আনতে চতুর্থ লাইনের কাজ চলছে। কিন্তু কাজে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে কেবল চুরির ঘটনা। নির্মাণকারী সংস্থা এ নিয়ে বারবার ক্ষোভ প্রকাশও করেছে। দিন কয়েক আগে শিবাইচণ্ডী স্টেশনের কাছে সিগন্যালের প্রচুর নতুন কেবল চুরি যায়। মাঝে মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে সংস্থার পক্ষ থেকে। আরপিএফ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে আটক করে বেশকিছু চোরাই তার উদ্ধার করেছে। কিন্তু এই চুরির নেপথ্যে আরপিএফের নিস্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছে কর্মীদের একাংশ।
[আরও পড়ুন : ১৬ বছর ধরে গৃহবন্দি, এক চিলতে ঘরই যেন আউশগ্রামের সবিতার পৃথিবী]
বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হয়ে কাজে গতি এসেছে। এর মধ্যেই রেলের সামগ্রী চুরি হচ্ছে নিয়মিতভাবে। শিবাইচণ্ডী স্টেশনের কাছে এই চুরিতে সিগন্যাল বিভাগ ক্ষোভ প্রকাশ করে আরপিএফকে সতর্ক করে। তদন্তে নামে সিআইবি। মির্জাপুর-বাঁকিপুর থেকে চন্দনপুর–শক্তিগড় হয়ে বর্ধমান পর্যন্ত চতুর্থ লাইনের কাজ হচ্ছে। আগেই ডানকুনি থেকে বারুইপাড়ার মাঝে চতুর্থ লাইনের কাজ শেষ হয়ে ট্রেনও চলছে। এবার চতুর্থ লাইনের কাজ চলছে মির্জাপুর ও চন্দনপুরের মাঝে।
এদিকে কর্ড শাখার মির্জাপুর, বাঁকিপুর, চন্দনপুর প্রভৃতি স্টেশন থেকে প্রচুর নিষিদ্ধ চোলাই মদ ট্রেনে করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, এই স্টেশনগুলির আশপাশে বহু চোলাই মদ তৈরির ভাঁটি রয়েছে। সেখান থেকে চোলাই পাচার হয়। পাচারের পরিবহণ মাধ্যম এই ট্রেন। ভোরের ট্রেনগুলিতে এই মদ নিয়ে যায় পাচারকারীরা। দুর্গন্ধে ট্রেনে যাতায়াত করা দায় হয়ে পড়েছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। রেল পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।