দিপালী সেন: আন্দোলনের মুখে পিছু হটল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জয় হল ছাত্রছাত্রীদের। খসড়া ‘কোড অফ কন্ডাক্টে’র নতুন কোনও নিয়ম চালু করা হবে না বলে সোমবার লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণকুমার মাইতি। অর্থাৎ কার্যকর করা হচ্ছে না নতুন আচরণবিধি। পড়ুয়াদের দাবির অনুযায়ী লিখিতভাবেই ডিন অফ স্টুডেন্টস জানিয়েছেন, পুরনো যে বিধিগুলি লাগু রয়েছে, সেগুলোই আচরণবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন আচরণবিধির খসড়া প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধিতায় সরব হয় পড়ুয়ারা। বিশেষত, খসড়ায় উল্লিখিত কয়েকটি বিধির বিরুদ্ধে রীতিমতো সুর চড়ান তাঁরা। বলা হয়েছিল, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে মিটিং ও মিছিল করা যাবে না। ক্যাম্পাসের কোনও কর্মকাণ্ডের অডিও বা ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সংবাদমাধ্যমে দেওয়া যাবে না। এদিকে ক্যাম্পাসে নিভৃতে সময় কাটানোর সময় ধরা পড়লেই প্রেমিক যুগলকে ডিসিপ্লিনারি কমিটির মুখে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে। তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হতে পারে। এমনই নিয়ম চালুর কথা জানিয়েছিল প্রেসিডেন্সি।
[আরও পড়ুন: Panchayat Poll 2023: পর্যাপ্ত বাহিনী না এলে দফা বাড়ানোর আরজি নিয়ে হাই কোর্টে নওশাদ]
সোমবারও দিনভর প্রতিবাদে সরগরম ছিল প্রেসিডেন্সির ক্যাম্পাস। সকালে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে নতুন আচরণবিধির বিরোধিতা করে ডেপুটেশন দেয় এসএফআই। আর একদল পড়ুয়া গান গাইতে-গাইতে ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস’-এর হাতে তুলে দেন ফুলের তোড়া। একদল ডিনের ঘরের বাইরের দরজা ও দেওয়ালে লেখেন স্লোগানও। বিকেলের দিকে মেলে তার ফল। এসএফআই-এর দেওয়া ডেপুটেশনের কাগজেই ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস’ লিখে দেন আচরণবিধিতে নতুন নিয়ম অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়টি।
এসএফআইয়ের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সম্পাদক ঋষভ সাহা বলেন, “কোন কোন আচরণ বিধি ‘কোড অফ কন্ডাক্টে’র আওতায় এনে ছাত্রছাত্রীদের হাত পা বাধা যাবে না তা সুনির্দিষ্টভাবে লিখে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে জানিয়েছেন নতুন কোনও বিধি নিয়ে আচরণবিধি লাগু হচ্ছে না। পুরনো নিয়মগুলো এক জায়গায় করে আচরণবিধি বা স্টুডেন্ট ম্যানুয়াল বানানো হবে। নতুন করে কোনও সামাজিক বিধিনিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হবে না।” তবে, সাম্প্রতিককালে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্তদের কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়াদের একাংশ।