ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে রাজ্যে ফের বিলেতি করোনার (Corona) স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে। একই সঙ্গে হদিশ পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি নতুন প্রজাতির করোনার স্ট্রেনের। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ঘটনার জেরে তোলপাড় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। যোগাযোগ করা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের সঙ্গেও। রাজ্যে করোনার বিদেশি স্ট্রেনের সংক্রমণ থাকাতে বিমান বন্দরে চালু হচ্ছে নতুন কোভিড প্রটোকল (COVID Protocol)।
১০ দিন আগে বিদেশ থেকে একটি বিমান আসে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport)। নিয়ম মেনে যাত্রীদের লালারস সংগ্রহ করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই যাত্রীদের মধ্যে ১১ জনের লালারসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। এরপেরই বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই ১১জনের লালারসের নমুনা কল্যাণীর জিয়ন সিকোয়েন্স ইনস্টিটিউটে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। শুক্রবার মাঝরাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর কাছে মেইল করে জানানো হয়েছে, ১১ জনের মধ্যে ৩ জনের লালারসে পাওয়া গিয়েছে ব্রিটেনের করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। এবং আর ১ জন যাত্রীর লালারসের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা ভাইরাসের আরও একটি নতুন স্ট্রেন। যা ব্রিটেনের করোনা ভাইরাসের থেকেও বেশি মারাত্মক।
[আরও পড়ুন:নন্দীগ্রামে শুভেন্দু বনাম মমতা, বিজেপির প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকায় একাধিক চমক]
এই তথ্য হাতে পেয়েই, শনিবারই বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্যদপ্তর। ১০ দিন আগে যে বিমানটি কলকাতা বন্দরে অবতরণ করেছিল তার পূর্ণাঙ্গ যাত্রী তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত বিদেশ থেকে ও ভিন রাজ্য থেকে যতগুলি বিমান এসেছে, সবকটির যাত্রী তালিকাও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীর করোনার টেস্টের রিপোর্ট কী?
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ওই ৪ জন যাত্রী কেমন আছেন? স্বাস্থ্যকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ৪ জনের শরীর সুস্থ আছে এবং তাঁরা বাড়িতেই রয়েছেন। তবে ওই ৪ যাত্রী যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের কনট্রাক্ট ট্রেসিং করা হবে।
আগামী সপ্তাহ থেকেই বিমান বন্দরে চালু হচ্ছে নতুন কোভিড প্রোটোকল। সমস্ত যাত্রীর করোনা টেস্টের রিপোর্ট যাচাই করা হবে। করোনা উপসর্গের কোনও যাত্রী পাওয়া গেলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে রেখে আরটিপিসিয়ার টেস্ট করা হবে। যদি কোনও যাত্রীর সঙ্গে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকে তাঁকে আইসোলেশনে রেখে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই তবেই ছাড়া হবে। কিন্তু যাঁরা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ভায়া হয়ে অন্য কোথাও যাবেন তাঁদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম বলবৎ হবে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে।