সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাকে বলে অব্যর্থ দাওয়াই। ওষুধ পেটে পড়লেই ছদিনে সুস্থ হয়ে উঠবে করোনা আক্রান্ত রোগী। অবিশ্বাস্য এই দাবি তুলেছে বিশ্বের তিন দেশের গবেষক দল। গবেষণায় ওষুধের কার্যকারিতাও প্রমাণ হয়েছে বলে দাবি তুলেছেন গবেষকরা। মারণ ভাইরাসের উপকেন্দ্র চিন, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের দাবি নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে বিশ্বকে। যদিও বেশ কিছু দেশের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের টিকা এখনও আবিষ্কার হতে দেড় বছরের মতো সময় লাগবে।
জানা গিয়েছে, চিন, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা মোট তিনটি গবেষণা করেছেন। সেখানে হাইড্রোক্লোরোকুইন এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিন একসঙ্গে আক্রান্তের শরীরে প্রয়োগ করেছেন। এই পথ্য রোগীর ক্ষেত্রে কাজ করেছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর আধিকারিক মার্ক গ্রিন জানিয়েছেন, ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীকে আগে ক্লোরোকুইন দেওয়া হত। এখন তারই নয়া সংস্করণ হল হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন। এই ওষুধই নাকি করোনা মোকাবিলায় মোক্ষম অস্ত্র। তবে আরও কিছু পরীক্ষা প্রয়োজন। যাদের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই ছদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
[আরও পড়ুন: মায়ের থেকে গর্ভস্থ সন্তানের দেহে সংক্রমিত হয় না করোনা, আশ্বাসবাণী বিশেষজ্ঞদের]
সম্প্রতি একটি গবেষণায় প্রকাশ্যে এসেছে যে, মারণ ভাইরাস বাতাসে ৩০ মিনিট পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। ৪.৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এই জীবাণু। যা নিরাপদ দূরত্ব থেকে অনেক বেশি। এই গবেষণা প্রকাশ্য এনেছে চিনা প্রশাসনের বিশেষজ্ঞরা। সংক্রামিত জলের ফোটা যেখানে পড়েছে তার মধ্যে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে এই ভাইরাস। তবে বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যা ভাইরাসের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে কাজ করে। যেমন তাপমাত্রা। ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত এই ভাইরাস দুই থেকে তিনদিন বেঁচে থাকতে পারে। এই তাপমাত্রায় কাচ, ফাইবার, ধাতব পদার্থ, প্লাস্টিক এবং কাগজেও থাকতে পারে এই মারণ ভাইরাস।
The post ছ’দিনে সুস্থ হয়ে উঠছে আক্রান্ত রোগী! করোনার ‘অব্যর্থ দাওয়াই’ পেয়েছেন গবেষকরা appeared first on Sangbad Pratidin.