সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত দ্বিতীয় 'হু (WHO) গ্লোবাল সামিট অন ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন'-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে একগুচ্ছ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ১৯শে ডিসেম্বর ২০২৫-এ আয়োজিত এই সম্মেলনে তিনি জানান, প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি এখন আর কেবল ঘরোয়া প্রতিকারের গণ্ডিতে বাঁধা নয়। আধুনিক চিকিৎসায় তা আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগ ব্যায়ামের উৎপত্তি প্রাচীন ভারতে। আজ তা সারা বিশ্বকে সুস্বাস্থ্য ও ভারসাম্যের পথ দেখিয়েছে।
তিন দিনের এই সম্মেলনে প্রধান আকর্ষণ ছিল ‘মাই আয়ুষ ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস পোর্টাল’ (MAISP)-এর উদ্বোধন। এই একটি পোর্টালের মাধ্যমেই এবার থেকে আয়ুর্বেদ, যোগা, ইউনানি, সিদ্ধ এবং হোমিওপ্যাথি সংক্রান্ত সমস্ত পরিষেবা মিলবে। এর ফলে চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষ—উভয়েই উপকৃত হবেন। এ ছাড়া তিনি ‘আয়ুষ মার্ক’ উন্মোচন করেন। এটি আয়ুষ পণ্য ও পরিষেবার গুণমান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
ভারতের ভেষজ ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অশ্বগন্ধার ওপর একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ২০২১-২০২৫ সালের মধ্যে যোগব্যায়ামের প্রসারে অসামান্য অবদানের জন্য কৃতি ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করেন। সম্মেলনে যোগব্যায়াম প্রশিক্ষণের ওপর একটি প্রযুক্তিগত রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদি গর্বের সঙ্গে জানান, ভারতের জামনগরে বিশ্বের একমাত্র গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি দিল্লিতে WHO-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নতুন আঞ্চলিক কার্যালয় কমপ্লেক্সেরও উদ্বোধন করেন। বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রথাগত চিকিৎসাকে সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দেওয়াই ছিল এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে ভারত বিশ্ব স্বাস্থ্য মানচিত্রে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব আবারও প্রমাণ করল।
