মণিশংকর চৌধুরী ও অর্ণব আইচ: বুধবার দুপুরে নয়া মাইলফলক ছুঁল গার্ডেনরিচ জাহাজ নির্মাণ সংস্থা (Garden Reach Shipbuilders & Engineers)। চিনকে রুখতে এবার জোড়া ASWSWC যুদ্ধজাহাজ (War Ship) নির্মাণ করল সংস্থাটি। এদিনই জলে নামল জাহাজ দুটি। শীঘ্রই সাবমেরিন বিধ্বংসী রণতরী দুটি হস্তান্তর করা হবে নৌসেনাকে। এর ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হল ভারত।
নৌসেনার নতুন দুটি জাহাজের নাম যথাক্রমে ‘আইএনএস অগ্রয়’ এবং ‘আইএনএস অক্ষয়’। জোড়া যুদ্ধজাহাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল এয়ার ফোর্স ওয়েলফেয়ার অ্যসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তথা বায়ুসেনা প্রধান বিবেক রাম চৌধুরীর স্ত্রী নীতা চৌধুরীর হাতে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোদ বায়ুসেনা প্রধানও। উল্লেখ্য, মূল ‘আইএনএস অগ্রয়’ জাহাজটির কার্যকাল শেষ হওয়ার পর ২০১৭ সালে সেটিকে নষ্ট করে ফেলা হয়। পাশাপাশি ‘আইএনএস অক্ষয়’ জাহাজটিকে বিকল করা হয় ২০২২ সালে। বুধবার যাদের পুর্নজন্মের সাক্ষী হল কলকাতা বন্দর।
[আরও পড়ুন: লকেটের বিরোধিতায় মোদিকে খোলা চিঠি! হুগলির প্রার্থীকে নিয়ে অস্বস্তি বিজেপিতে]
নৌসেনার থেকে সাবমেরিন বিধ্বংসী ৮টি যুদ্ধজাহাজের বরাত পেয়েছে গার্ডেনরিচ জাহাজ নির্মাণ সংস্থা। এর মধ্য়ে চারটি রণতরী ইতিমধ্য়ে হস্তান্তর হযেছে। এদিন পঞ্চম এবং ষষ্ঠ জাহাজ পেল নৌসেনা। যাদের দৈর্ঘ্য ৭৭.৬ মিটার, প্রস্থ ১০.৬ মিটার। আগের জাহাজগুলির মতো জলপথে নজর রাখবে ‘আইএনএস অগ্র’ এবং ‘আইএনএস অক্ষয়’। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৫ Knots। প্রয়োজনে যুদ্ধ নামবে দুই রণতরী। শত্রু দেশের ঘুম কেড়ে নেবে। যেহেতু দুটি যুদ্ধজাহাজ সজ্জিত হবে বিভিন্ন ধরনের সামরিক সজ্জায়।
কী কী বিধ্বংসী হাতিয়ার রয়েছে এই জাহাজে? হালকা ওজনের টর্পেডো। সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট। রয়েছে শত্রু জাহাজকে ঘায়েল করতে মাইন বিছিয়ে দিতেও সক্ষম এই দুটি করভেট। প্রতিপক্ষের রকেট ও মিশাইল থেকে আত্মরক্ষার জন্য রয়েছে ৩০ মিমি-র স্বয়ংক্রিয় কামান। সমুদ্র গভীরে আত্মগোপন করে থাকা ডুবোজাহাজকে মুহূর্তে খুঁজে বের করতে এই দুটি রণতরীতে রয়েছে সোনার সিস্টেম। উপকূলবর্তী এলাকায় যাতে কোনওভাবেই শত্রুপক্ষের সাবমেরিন প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে অতন্দ্রপ্রহরীর কাজ করবে এই দুই জাহাজ।