সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে সন্ধান মেলা করোনার (Coronavirus) স্ট্রেনের নাম ডেল্টা (Delta) স্ট্রেন। এবার রূপ বদলেছে করোনার সেই স্ট্রেন। তার নতুন রূপের নাম ‘ডেল্টা প্লাস’ (Delta Plus) বা AY.1। মনে করা হচ্ছে, গত এপ্রিল থেকে দেশে ঝাঁপিয়ে পড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পিছনে প্রধানত দায়ী ছিল ডেল্টা স্ট্রেনই। অবশেষে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে অতিমারীর এই ঢেউ। এরই মধ্যে জানা গেল ডেল্টা প্লাসের কথা।
গত মাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO করোনার B.1.617.2 স্ট্রেনের নাম দেন ডেল্টা। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আপাতত যা তথ্য মিলছে তা থেকে মনে করা হচ্ছে মনোক্লিনিক্যাল অ্যান্টিবডি ককটেল চিকিৎসা এই স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে না। প্রসঙ্গত, ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গ্যানাইজেশন’ করোনা চিকিৎসায় এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগে অনুমতি দিয়েছে। ফলে উদ্বেগ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণের ক্ষমতা ডেল্টা স্ট্রেনের থেকে বেশি কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে মঙ্গলবার নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল সকলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, এই নয়া স্ট্রেনকে ঘিরে এখনই আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই নয়া স্ট্রেনটির চরিত্র ভাল করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃতভাবে টিকা নিতে চাইছে না মুসলিমরা, বিতর্কিত মন্তব্য উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর]
নোভেল করোনা ভাইৱাসের মধ্যে মিউটেশনের ক্ষমতা কতটা সাঙ্ঘাতিক, তা বহু আগেই টের পেয়েছেন গবেষকরা। খুব দ্রুত সে নিজেকে পরিবর্তিত করে অন্য রূপ ধারণ করতে পারে। মানুষের কোষের নিরিখে দেখতে অত্যন্ত দ্রুত মিউটেশন ঘটাতে পারে কোভিড-১৯। এবং সেই কারণেই দীর্ঘ সময় ধরে এমন দাপট দেখাতে পারছে মারণ ভাইরাসটি।
স্বাভাবিক ভাবেই নতুন মিউট্যান্টকে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়ছেন, এখনই ডেল্টা প্লাসকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এখনও পর্যন্ত দেশে এর উপস্থিতি সামান্যই। তবে সিএসআইআর-আইজিআইবি-র প্রধান ডা. অনুরাগ আগরওয়াল জানিয়েছেন, টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে এমন ব্যক্তিদের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে দেখা হবে ডেল্টা প্লাসের বিরুদ্ধে তার মধ্যে কতটা প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: সমাজবাদী পার্টির দিকে পা বাড়িয়ে ৯ বিধায়ক! উত্তরপ্রদেশে কার্যত ‘শক্তিহীন’ মায়াবতী]
এদিকে এপ্রিল-মে মাসের বিপজ্জনক পরিস্থিতির পরে অবশেষে হু হু করে নামতে শুরু করেছে দেশের করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। মঙ্গলবার দেশের দৈনিক আক্রান্তের গ্রাফ নামতে নামতে ৬০ হাজারের ঘরে চলে এসেছে। যা কিনা গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। শুধু তাই নয়, দেশের দৈনিক মৃত্যুর হারও কমছে পাল্লা দিয়ে। যাকে ঘিরে আপাতত স্বস্তিতে বিশেষজ্ঞরা।