সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাকা শরদ বলছেন, ‘ভাগ্যিস যাইনি’। অথচ, ভাইপো অজিতের দাবি, ‘প্রয়োজন ছিল’। তবে কি নতুন সংসদ ভবনকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের শুরু হয়েছে পওয়ার বনাম পওয়ার লড়াই?
গত রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ‘গণতন্ত্রের উপহাস’ হচ্ছে বলে তোপ দেগে অনুষ্ঠান বয়কট করে ২০টি রাজনৈতিক দল। এদের মধ্যে ছিল শরদ পওয়ারের দল এনসিপিও (NCP)। টুইটারে মারাঠা স্ট্রংম্যান তোপ দেগেছিলেন, ‘অনুষ্ঠান দেখলাম। আমি খুশি যে উপস্থিত ছিলাম না। ওখানে যা ঘটেছে তা দেখে চিন্তিত। আমরা কি দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছি? এই অনুষ্ঠান কি শুধুমাত্র কয়েক জন মানুষের?’
এই প্রেক্ষাপটে এবার কার্যত মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অজিত পওয়ার। তাঁর বক্তব্য, “দেশের জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি ছাড়িয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যাও বাড়বে। তাই নতুন সংসদ ভবন সময়ের দাবি। করোনা কালেও রেকর্ড সময়ে এই নির্মাণ কাজ শেয হয়েছে। এখন সবার উচিত নতুন ভবনে সংবিধান মেনে কাজ করা এবং সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করা। এখানে সবারই অংশ নেওয়া উচিত।”
[আরও পড়ুন: দেশের শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার গত ৫ বছরে সবচেয়ে কম, প্রকাশ্যে রিপোর্ট]
বিশ্লেষকদের মতে, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে শরদ বনাম অজিত ঠান্ডা লড়াই নতুন কিছু নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার অজিত পওয়ার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। ২০১৯ -এ দেবেন্দ্র ফড়নবীসের মন্ত্রীসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। যদিও উপমুখ্যমন্ত্রীর সেই পদে মাত্র তিনদিন থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন অজিত। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। লোকসভা নির্বাচনের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর চাঙ্গা হয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। ‘রামধনু’ হলেও, বিজাপি বিরোধী জোট তৈরির সম্ভাবনা প্রায় চোদ্দ আনা। আর এই কর্মকাণ্ডে শরদ পওয়ারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিব সেনার একনাথ শিন্ডের মতোই অজিত পওয়ারকে ব্যবহার করে এনসিপি-কে ভাঙতে চাইছে বিজেপি।