বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ভোটের কথা বললেই মাথা নিচু। ওঁরা যে হেরো। ওঁরা তো শূন্য। কিন্তু কোনও কিছুর কাছেই হার মানতে নারাজ দামালের দল। রাতবিরেতে ছুটে চলেছে করোনায় আক্রান্ত (Covid-19) মুর্মুষ রোগীকে বাঁচাতে। অক্সিজেন থেকে ওষুধ। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ডাক্তার। সব প্রয়োজনেই ভোটের অংকে শূন্য দলের ছাত্র যুবরা। তাঁদের কাজ নিয়ে এবার প্যারোডি। টুম্পা বা লুঙ্গি ডান্সের পর এবার ২০১০ ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপের সেই ‘ওয়েভিং ফ্ল্যাগ’-এর সুর। সঙ্গে লাল ব্যাকগ্রাউন্ডে নিখুঁত মাল্টিমিডিয়ার কাজে ফুটে উঠছে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’দেরই (Red Volunteers) নানা কাজের চিত্র। মূহুর্তে ভাইরাল প্যারোডির ভিডিও।
একঝাঁক তরুণ মুখকে সামনে এনে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কামব্যাকের আশায় ছিল আলিমুদ্দিন। কামব্যাক দুর অস্ত। মুখ থুবড়ে পড়েছে বামেদের স্বপ্ন। ভোট প্রচারের ‘বাইনারি’ তলানিতে নিয়ে গিয়েছে লালপার্টির ভোট ব্যাংক। কিন্তু ওদের যে ‘লজ্জা, ঘৃণা, ভয়। তিন থাকতে নয়’। মানুষ যখন বিপদে ঘরে বসে থাকার নয় দামালের দল। আর্ত মানুষের সাহায্যে দিনরাত এক করছে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’। লড়াই লড়ব, একসঙ্গে জিতব। মন্ত্র ওঁদের।
[আরও পড়ুন: করোনা রোগীর চিকিৎসার বিল মেটাতে হাসপাতালের ‘চাপ’, দুর্গাপুরে আত্মঘাতী ছেলে]
তারপরেও একদিনও বসে থাকেনি বামপন্থী মনোভাবাপন্ন তরুণ এই প্রজন্ম। বরং করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ নাম দিয়ে নিজেদের দল তৈরি করে দৌড়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যের সর্বত্র। ওয়েবসাইটে প্রতি জেলার ভলান্টিয়ারদের নাম ও নম্বরের তালিকা দেওয়া হয়েছে। নিজেদের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ওয়েভিং ফ্ল্যাগের সুরে গান বেঁধেছে তারা। সেখানে করোনার এই সংকটকালে কীভাবে তারা ‘বন্ধুর’ পথে মানুষের পাশে থেকে এই লড়াইয়ে জেতার অঙ্গীকার করেছে, সে কথা জানিয়েছে। গানের কথায় সরকার বিরোধিতাকেও জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। ভোটে না-জেতার কথাও বাদ পড়েনি।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেললেও কটাক্ষও শুনতে হচ্ছে হেরেও হার না মানা দামালদের। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে কেন রাস্তায়? শুনতে হচ্ছে হুমকিও। কিন্তু ওরা যে লাল সেচ্ছাসেবক। শত হুমকিতেও পিছু হটতে নারাজ।
দেখুন ভিডিও: