সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Corona Virus) সংক্রমণ রুখতে দ্বিতীয় পর্যায়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ কলকারখানা। স্বাভাবিকভাবে অর্থনীতি তলানিতে পৌঁছনোর আশঙ্কা এড়ানো যাচ্ছে না। সমস্যায় পড়েছেন ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও কীভাবে ধরে রাখা যায় অর্থনীতির হাল? লকডাউনের মাঝে কীভাবে অপরিবর্তিত থাকতে পারে আমাদের আর্থিক অবস্থা? আবারও একটি ভিডিও প্রকাশ করে সে সংক্রান্ত দিশাই দেখাল অভিজ্ঞ আনন্দ নামে জ্যোতিষর্চায় পারদর্শী কিশোর। চলতি বছরের শেষ থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত আবারও নতুন করে আমরা কোনও বড়সড় বিপদের মুখোমুখি হতে পারি বলেও আশঙ্কার কথা শোনাল সে।
আগের মতোই আবারও গ্রহের অবস্থান বিচার করে পৃথিবীর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ইউটিউব ভিডিও প্রকাশ করে অভিজ্ঞ আনন্দ। বারবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার কথা বলে। প্রকাশিত নতুন ভিডিওতে সে বলে, “নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হতে পারে, এমন যেকোনও বিষয় থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জল এবং বায়ুদূষণ বর্তমানে প্রায় কমে গিয়েছে। তার ফলে জৈব পদ্ধতিতে চাষের ক্ষেত্রে উপকৃত হতে পারেন কৃষকরা। জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা ফসল আমাদের সুষম পুষ্টি জোগাবে। আর শরীর যত বেশি ভাল থাকবে, ততই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে যাবে।” মাটি ছোঁয়া যাবে এমন কাজ করারও পরামর্শ দেয় জ্যোতিষচর্চায় পারদর্শী কিশোর।
[আরও পড়ুন: গত বছর মহামারির ইঙ্গিত দিয়েছিল, সেই কিশোরই জানাল বিশ্ব থেকে কবে বিদায় নেবে করোনা]
বেশ কয়েকদিন আগেও ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রকাশ করে অভিজ্ঞ। ওই ভিডিওয় সবচেয়ে আশঙ্কার কথা শোনায় জ্যোতিষচর্চায় পারদর্শী কিশোর। অভিজ্ঞ বলে, “এই করোনা ভাইরাসই শেষ নয়। আবার চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমাদের জন্য কোনও বড় বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে। যা করোনার থেকে আরও ভয়ংকর।” কিন্তু কবে করোনা থেকে মিলবে মুক্তি? সে প্রশ্নেরও উত্তর দেয়। কিশোর দাবি করে চলতি বছরের ২৯ মে থেকে করোনার দাপট কিছুটা হলেও কমতে শুরু করবে। তবে তার দাবি, আগের ভিডিওয় অনেকেই সেকথা বুঝতে পারেননি। ২৯ মে থেকেই রেহাই মিলবে বলে ভেবে নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু নতুন ভিডিওতে সকলের ভুল সংশোধন করে। নতুন করে প্রকাশ করা ভিডিওতে সে বলে, “চলতি বছরের জুনের আগে পৃথিবীতে ভাল কিছু হবে না। জুলাই থেকে একেবারেই কমতে পারে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা।” ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়েও ওই ভিডিওতে আশার কথা শোনায় কিশোর। সে বলে, “ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে। তবে প্রতিরোধ ক্ষমতা না বাড়ালে সাধারণ মানুষকে বাঁচানো দুষ্কর। তাই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। খেতে হবে হলুদের মতো জীবাণুনাশক খাদ্যবস্তুও।”
The post ২০২০’র শেষে হতে পারে আরও বড় বিপদ, জ্যোতিষচর্চায় পারদর্শী কিশোর ফের শোনাল আশঙ্কার কথা appeared first on Sangbad Pratidin.