সুকুমার সরকার, ঢাকা: আর মাত্র মাস ছয়েকের অপেক্ষা। তারপরেই চালু হবে বহুকাঙ্খিত আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ। ফলে আরও কাছাকাছি আসবে ভারত ও বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
রবিবার রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৮৩ কিলোমিটার দূরের আখাউড়ায় রেল প্রকল্পটি পরিদর্শনের সময় আগরতলা সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যেই চালু হবে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্মাণাধীন এই লাইনটির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। রেলমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের জন্য আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন সংযোগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই লাইনটি চালু হলে দুই পড়শি রাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পরিষেবা আরও মসৃণ হবে।” এই প্রকল্পের সময় ইতিপূর্বে তিনবার বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন করে মেয়াদ বাড়বে কী না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অধিকাংশ কাজই সম্পন্ন হয়েছে। এখন যতটুকু কাজ আছে, আশা করা যায় জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: হাসিনা সরকারকে উৎখাতই লক্ষ্য, এবার বিএনপির সঙ্গে যোগ দিচ্ছে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’]
বেশ কয়েকবছর আগেই ঢাকা ও আখাউড়ার মধ্যে বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। যাত্রীদের সময় ও খরচের কথা মাথায় রেখে এবার চালু হবে রেলপথ। এই পরিষেবা শুরু পলে সময় ও অর্থ দুইয়েরই সাশ্রয় হবে। উল্লেখ্য, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পটি ভারতীয় অনুদানের নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৭ শতাংশ। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত বাংলাদেশ (Bangladesh) অংশের দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার।
সূত্রের খবর, গতমাসে বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে পণ্য রাখার জন্য বিশেষ জায়গা বা ইয়ার্ড চেয়েছে ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চট্টগ্রাম থেকে ভারতের অসম-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহণে সময় ও অর্থের অনেকটাই সাশ্রয় হয়। তাই এই আবেদন জানিয়েছে নয়াদিল্লি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি অর্থনীতি শক্তিশালী করতে এমন সুবিধা চায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এবাক নতুন রেললাইন চালু হলে সেউ সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।