সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১ সালের আগস্টে কাবুল পুনর্দখল করেছিল তালিবান। 'কাবুলিওয়ালার দেশে' শুরু হয়েছিল তালিবান ২.০। এরপর পেরিয়েছে তিন বছরেরও বেশি সময়। এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের কোনও দেশ। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার নিম্নকক্ষে সদ্য পাশ হওয়া এক নতুন আইনকে ঘিরে আশায় বুক বাঁধছে তালিবান। মনে করা হচ্ছে, এই আইন বাস্তবায়িত হলে তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে পুতিন সরকার।
কী বলা হয়েছে এই আইনে? আসলে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। এর মধ্যে অবশ্যই ছিল তালিবান। নয়া আইনে বলা হয়েছে, সেই সময় যাদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে দাগিয়ে দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, কিছু ক্ষেত্রে তা তুলে নেওয়া হবে। অবশ্যই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই। এই তালিকায় তালিবানের পাশাপাশি এইচটিএসও রয়েছে, যারা এই মুহূর্তে রয়েছে সিরিয়ার দখল নেওয়া বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে।
২০২০ সালে তাদের নিষিদ্ধ করেছিল মস্কো। যদি শেষপর্যন্ত নয়া আইন বলবৎ হয়ে যায় এবং এই দুই গোষ্ঠীর উপর থেকে রুশ নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় তবে তা তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, এই মুহূর্তে রাশিয়াতেই রয়েছেন বাশার আল আসাদ। সপরিবারে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট। সংবাদসংস্থা এএফপি-র দাবি, মস্কো থেকে প্রথমবার দেশত্যাগী আসাদ বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সন্ত্রাসবাদ সিরিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৭ ডিসেম্বর, শনিবার সন্ধ্যায় দামেস্কাসে পৌঁছায় জঙ্গিরা। প্রশ্ন উঠেছিল প্রেসিডেন্টের ভাগ্য ও অবস্থান নিয়ে। জেহাদিদের জঙ্গিবাদকে বিদ্রোহীদের সংগ্রাম বলে চালাতে প্রচুর ভুয়ো তথ্য ও ভুল খবর ছড়ানো হয়েছিল।” এহেন পরিস্থিতিতে পুতিনের প্রশাসন সিরিয়ার নয়া সরকারের সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি হওয়ায় পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।