shono
Advertisement

মুখ ঢাকা রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য বিতর্ক: চাপের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের বসানো হল মূর্তি

মুখে টেপ, গীতাঞ্জলিতে পেরেক দেওয়া কবিগুরুর মূর্তি নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল।
Posted: 07:58 PM Feb 18, 2023Updated: 08:14 PM Feb 18, 2023

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে (Rabindranath Tagore) নিয়ে ন্যক্কারজনক কাণ্ডের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে আবারও স্থাপন করা হয়েছে তাঁর ভাস্কর্যটি। ‘গুম’ হওয়ার দু’দিন পর শনিবার ভাস্কর্যটি (Sculpture) পুন:স্থাপন করা হয়। তবে নতুন ভাস্কর্যের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

Advertisement

দেশে মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের উপর সেন্সরশিপ এবং সব ধরনের নিপীড়নের প্রতিবাদে ১৪ ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্রনাথের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) চারুকলা অনুষদের একদল শিক্ষার্থী। ভাস্কর্যের মুখে নীল সেলোটেপ, হাতের গীতাঞ্জলিতে বেঁধানো পেরেক। বিশ্বকবির এহেন ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠার পর বৃহস্পতিবার ভোরে সেখান থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যান ‘মূক’ রবীন্দ্রনাথ। পরে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের ময়লার স্তূপ থেকে ভাস্কর্যের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।

[আরও পড়ুন: রনজি ট্রফি ফাইনাল: ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে অনুষ্টুপ-মনোজের লড়াকু ইনিংস

সাড়ে ১৯ ফুট উচ্চতার এই ভাস্কর্য নির্মাণ ও স্থাপনের নেতৃত্ব দেন চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবাদের জন্য বিশ্বে কোথাও অনুমতি নেওয়ার নজির নেই। আমরা মতপ্রকাশের গুরুত্ব বুঝাতে এটি স্থাপন করেছি। তবে প্রশাসন ভাস্কর্যটি সরিয়ে দেয়। আমরা আবারও ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছি।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানি জানান, ‘‘ভাস্কর্যটির কোনও হদিশ ছিল না। শিক্ষার্থীরা অনুমতি না নিয়ে কাজটি করেছে। তারা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। এরকম কাজ করলে তো মুশকিল। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আশা করি, তারা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেবে।’’

[আরও পড়ুন: ‘সোরস একগুঁয়ে, বিপজ্জনক ব্যক্তি’, আদানি ইস্যুতে মার্কিন ধনকুবেরকে বিঁধলেন জয়শংকর]

শিক্ষার্থীরা না সরালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে কি? এই প্রশ্নে প্রোক্টর বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীরা নিয়ম না মানলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তো চুপ থাকবে না। এটা পক্ষপাতের বিষয় নয়। এটি কারও উপর শক্তি খাটানোর বিষয়ও নয়। আশা করি তারা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেবে। তাদের নিশ্চয় কোনও ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এ বিষয়ে আমরা পরে ব্যবস্থা নেব।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement