রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: উত্তাল সমুদ্র। ঝাউবন। নিস্তব্ধতার দেখা সেভাবে মেলে না। দিঘার এই রূপ দেখতেই অভ্যস্ত আমবাঙালি। সারা বছর পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করে সমুদ্র সৈকত। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে সে ছবি কিছুটা বদলেছে। পর্যটকদের ভিড়ও খানিক কম। তবে এই পরিস্থিতিতেই দিঘার মুকুটে জুড়ছে নয়া পালক। এবার দিঘায় (Digha) চালু হচ্ছে থ্রি ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং সিস্টেম। ঝলমলে রকমারি আলো এবং সংগীতের মূর্ছনায় মায়াবি পরিবেশ তৈরি হবে সমুদ্রের পাড়ে। দিল্লির ইন্ডিয়া গেট (India Gate) এবং প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে রয়েছে এই প্রযুক্তির ব্যবহার।
চলুন এবার জেনে যাওয়া যাক থ্রি ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং সিস্টেম ঠিক কী? এটি একটি আধুনিক লাইটিং প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে আলো এবং ছায়ার সমন্বয়ে বড় স্ক্রিনের উপর নানা জিনিসের অবয়ব তৈকি করা সম্ভব। যে কোনও বাড়ির দেওয়ালকে জায়ান্ট স্ক্রিন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। গোটা প্রকল্পে খরচ হবে আনুমানিক ৯ কোটি টাকা। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান অখিল গিরি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দিঘাকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। আর তাঁর উদ্যোগেই দিঘা-শংকরপুর পর্যটন কেন্দ্রে নয়াকালী মন্দিরের কাছে এই প্রযুক্তিতে কাজে লাগানো হবে।” ইতিমধ্যেই ডাকা হয়েছে টেন্ডার। সূত্রের খবর, বর্ষবরণের চমক হতে পারে থ্রি ডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং সিস্টেম। সরকারের ভাবনায় অত্যন্ত খুশি দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়। নানা ধরনে শো-র আয়োজন করা হয়। এখানে তা হলে মন্দ নয়। তাতে পর্যটন শিল্প আরও পু্ষ্ট হবে।”
[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন ট্যুরিজম! এই সংস্থার সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে গেলেই মিলবে করোনার টিকা]
করোনার (Coronavirus) দাপটে দিঘায় পর্যটকের আনাগোনা কিছুটা কমেছে। তার ফলে বহু মানুষের রুটিরুজিতেও টান পড়েছে। বর্ষবরণের সময় কিছুটা হলেও বেশি সংখ্যক পর্যটকের দেখা মিলবে বলেই আশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তার আগে এই প্রযুক্তি চালু হলে ভালই হবে বলেই আশা তাঁদের।