অভিষেক চৌধুরী, কালনা: বাস্তু বলছে একদশক আগে তৈরি মন্দিরের স্থানই ভুল। যার জেরে একের পর এক বিপদ লেগেই আছে পরিবারের। সমাধানের উপায় বলতে, সঠিক কোণে মন্দির নির্মাণ। কিন্তু মন্দির ভাঙাতে স্বাভাবিকভাবেই সায় দেয়নি মন। কী উপায়? প্রযুক্তির সাহায্যে না ভেঙেই বাস্তু মেনে ঠিক জায়গায় মন্দির বসানো হচ্ছে কালনায় (Kalna)।
কালনার হাসপুকুর পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশ্বাস পরিবার। প্রায় একদশক আগে পনেরো লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাড়িতেই তাঁরা তৈরি করেন কালী ও শিবের মন্দির-সহ একটি ভোগমন্দির। শোনা যায়, তারপর থেকেই নাকি একের পর এক বাড়ির বিভিন্ন কাজে বাধা তৈরি হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে এক পণ্ডিত জানান, বাস্তুশাস্ত্রমতে মন্দির হওয়া দরকার ঈশান কোণে। কিন্তু ওই মন্দিরটি ছিল অগ্নিকোণে। সেই কারণেই নাকি একের পর এক সমস্যা। তাই অবিলম্বে সঠিক স্থানে মন্দির স্থাপনের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত মন্দিরকে ভাঙতে চাননি বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা। ফলে উপায় খুঁজতে থাকেন বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: পতাকা ধরারই লোক নেই! মোদির ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি নিয়ে সংশয়ে বঙ্গ বিজেপি]
পরিবারের সদস্য উদয় বিশ্বাস ইউটিউব দেখে জানতে পারেন, আস্ত একটি ভবনকে না ভেঙে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা যায়। তা দেখেই ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। জানতে পারেন সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই মন্দির সরানো সম্ভব। কথাবার্তা পাকা হতেই দিন পনেরো আগে থেকে শুরু হয় মন্দির সরানোর কাজ। ইতিমধ্যেই সেই মন্দিরটিকে প্রায় ত্রিশ ফুট সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
উদয় বিশ্বাস বলেন, “মন্দির ঈশান কোণে করা দরকার ছিল। কিন্তু তা করা হয়েছিল অগ্নিকোণে। পণ্ডিতের কথা অনুযায়ী বাস্তুশাস্ত্র মতে মন্দিরটিকে ঈশান কোনে করার সিদ্ধান্ত নিই।নতুন করে এই মন্দির তৈরী করতে গেলে বর্তমানে খরচ হত কুড়ি লক্ষের বেশি টাকা। কিন্তু মন্দিরটিকে এইভাবে সরিয়ে স্থানান্তরিত করতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয় হচ্ছে। ইউটিউবে এই পদ্ধতিতে বাড়ির স্থান পরিবর্তনের ভিডিও দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু চোখের সামনে দেখার সুযোগ পেয়ে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন কালনার বিশ্বাস বাড়িতে।
দেখুন ভিডিও।