ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। তৃণমূল কর্মীদের আবেগের নতুন তৃণমূল ভবনের ভিত পুজো হতে চলেছে ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই।
তপসিয়ায় দলের পুরনো ভবনের জায়গাতেই মাথা তুলবে নতুন বাড়ি। এই মুহূর্তে পূর্ব কলকাতার মেট্রোপলিটানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছে কাজ। সেখানে গৃহপ্রবেশ সেরে দলের কোর কমিটির বৈঠকও করে গিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাংবাদিক বৈঠক থেকে দলের নেতাদের সঙ্গে কর্মীদের সাক্ষাৎ, সবটাই এখন চলছে সেখানে। এর পাশাপাশি পুরনো ভবনের জায়গায় ভিত মজবুত করার জন্য বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে হয়েছে মাটি পরীক্ষা। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে জিতে এসে দলের পুরনো সদর দপ্তর ভেঙে সেই জায়গাতেই নতুন ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। প্রথম দফায় বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে নতুন ভবন তৈরির ভাবনা থাকলেও পরের দিকে মমতা এই দায়িত্ব দেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)। তাঁর তত্ত্বাবধানেই নতুন ভবনের কাজ হবে। নতুন বছরের প্রথম দিন সকাল ১০টায় তারই ভিত পুজো হওয়ার কথা। থাকবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: লৌহ আকরিক রপ্তানিতে ভাটা, সংসদে অভিষেকের প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র]
আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে রাজ্যের গ্রামস্তরে সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছতে বড় কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল। সেই সব কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে দলের রাজ্য সদর দপ্তর ভবনের ভিতপুজোর কাজ তৃণমূল কর্মীদের আবেগকে উজ্জীবিত করবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল। পুরনো এই ভবনের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীরও আবেগ জড়িয়ে। যখনই মমতা ভবনে কোনও বৈঠকে যেতেন, সেখানে নিজের ঘরে পুজো করতেন। মা দুর্গা থেকে উপাস্য সমস্ত দেবতার মূর্তি আপাতত তাঁর নিজের কাছে।
[আরও পড়ুন: করোনা নিয়ে দেশে বাড়ছে উদ্বেগ, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠকে মোদি]
স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে যখন এই ভবন তৈরি শুরু হবে, তাতে কর্মীদের পুরনো আবেগে টান পড়বে। আকারে নতুন ভবন আরও বড় হবে। পুরনো ভবনের সামনে লাগোয়া জমিতে একটি মার্বেল সংস্থা ছিল। তাদের কাছ থেকে কিছুটা জমি নতুন ভবনের (TMC Bhawan) জন্য নেওয়া হয়েছে। সবটা মিলিয়ে আগের তুলনায় বড় আকারেই গড়া হবে নতুন ভবন। সেখানে কর্মীদের থাকার মতো ব্যবস্থাও থাকবে। থাকবে নেতাদের বৈঠকের ঘরও। এদিকে, প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রতিবারের মতোই জেলায় জেলায় নানা কর্মসূচি থাকবে দলের। রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণ, দুঃস্থদের নানাভাবে সাহায্য করার মতো একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে দলের সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে।