সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কামব্যাকে 'রাজার রাজা' দেব। ফ্যামিলি ড্রামা ছেড়ে অ্যাকশনে ফিরতেই বছরশেষে বাংলার বক্স অফিস চাঙ্গা। উইকিপেডিয়ার হিসেব বলছে, ছবির ব্যবসা ইতিমধ্যেই দুকোটি ছাড়িয়েছে। ভক্তদের উচ্ছ্বাস সিনেমা হলে দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকদিনই রেকর্ড গড়ছে 'খাদান'। এতেই আপ্লুত দেব। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেই জানালেন কৃতজ্ঞতা। সুপারস্টার মানেন, এ শুধু তাঁর নয়, বাংলা সিনেমারও কামব্যাক।
যাঁদের 'শিরায় শিরায়' দেবভক্তি, তাঁদের জন্যই সোশাল মিডিয়ায় তারকা লেখেন, "আমার দর্শকদের প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনও ভাষা আমার কাছে নেই... 'চাঁদের পাহাড়' ও 'আমাজন অভিযান'-এর পর এই রকম রেসপন্স 'খাদান' পাচ্ছে। প্রথম দিনের থেকে দ্বিতীয় দিন বেশি, দ্বিতীয় দিনের থেকে তৃতীয় দিন আরও বেশি.... প্রত্যেকটা দিনে নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এই আবেগ শব্দে কীভাবে প্রকাশ করব আমি জানি না....দর্শক খুশি, তো আমি খুশি। সবাইকে ধন্যবাদ। ভালোবাসা রইল। শুধু আমি না, 'খাদান' বাংলা সিনেমাকেও ফেরাল।'
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই ছিল 'খাদান'-এর প্রথম শো। রায়গঞ্জে রাত দুটোয় দেখানো হয় দেব এন্টারটেনমেন্ট ও সুরিন্দর ফিল্মস প্রযোজিত ছবি। প্রথম শো-ই হাউজফুল। বুকিং শুরু হওয়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই সমস্ত টিকিট শেষ। যা কিনা পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথমবার বলেই দাবি। অর্থাৎ শুরুতেই ট্রেন্ড সেট করে দিয়েছেন দেব। তাঁর 'অ্যাংরি ইয়াং ম্যান' অবতারের জাদুতে এখনও সিনেমা হলে ঝোড়ো ইনিংস খেলছে 'খাদান'।
প্রশংসা যিশু সেনগুপ্তও বিস্তর পেয়েছেন। দেব যদি এছবির কৃষ্ণ হন, তাহলে ‘সারথি কৃষ্ণ’ যিশু। দুজনের যুগলবন্দি বেশ পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। ‘একেনবাবু’ কিংবা ‘জটায়ু’র মোড়ক থেকে বেরিয়ে অনবদ্য অনির্বাণ চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন বাদে বড়পর্দায় বরখা বিস্তকে দেখা গিয়েছে। দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমিকার ভূমিকায় ইধিকা পাল যথাযথ। পরিমিত অভিনয় সঙ্গত সুজন নীল মুখোপাধ্যায়ের। নজর কাড়লেন জন ভট্টাচার্যও। দেবের সঙ্গে অ্যাকশন দৃশ্যে তাঁকে বেশ ভালো লেগেছে।