কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: একটি টি-শার্ট তৈরি করতে কত জল অপচয় হয়? কিংবা নতুন পোশাক তৈরির সময় কী পরিমাণ কার্বন ফুটপ্রিন্ট তৈরি হয়? এই প্রশ্নগুলি পর্যালোচনা করে পুরনো পোশাক পুনর্ব্যবহারযোগ্য (Garments reuse) করার উদোগ নিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের মাধ্যমে পুরনো পোশাককে পুনর্ব্যবহার্য করে তোলার এবং তা বিক্রির ব্যবস্থা হবে নিউটাউনে। এই উদ্যোগ নিয়েছে ‘আই অ্যাম কলকাতা’ (মার্লিন গ্রুপের একটি উদ্যোগ)।
গত বৃহস্পতিবার নিউটাউনে (New Town) পুরনো পোশাক জমা দেওয়ার জন্য এক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল নিউটাউনের জিরো ওয়েস্ট শপে। হাজির ছিলেন NKDA’র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, ‘আই এম কলকাতা’র প্রতিষ্ঠাতা এবং মার্লিন গ্রুপের এমডি সাকেত মোহতা এবং কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজের কর্ণধার সৌরভ মুখোপাধ্যায়। এখানে ‘আই অ্যাম কলকাতা’র তরফে সংস্থার কর্মচারীদের ৭০০ টিরও বেশি পুরনো পোশাক দান করা হয়।
[আরও পড়ুন: পরিবেশের স্বার্থে ভুললেন শত্রুতা, মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বানে বৈঠকে যোগ জিনপিংয়ের]
দেবাশিস সেন জানিয়েছেন, এই জিরো শপে পুরনো জামাকাপড় সংগ্রহের পর তা জীবাণুমুক্ত করে নিউটাউনের বিভিন্ন জায়গায় প্রর্দশনের জন্য রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। এবং মানুষকে এই পোশাক পুনরায় ব্যবহার করার জন্য ভেবে দেখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশ দূষণে রাশ টানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্লিন গ্রুপের এমডি শ্রী সাকেত মোহতা বলেন, “আমরা মার্লিন গ্রুপে সমস্ত কর্মচারীদের একত্রিত করে পুরোনো বস্ত্র সংগ্রহের একটি উদ্যোগ কয়েক সপ্তাহ আগে চালু করেছিলাম এবং সেগুলোকে জীবাণুমুক্ত করার পর এই পোশাকগুলি জিরো শপে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”
[আরও পড়ুন: মঙ্গলে অসাধ্য সাধন রোভারের! লাল গ্রহের মাটিতে তৈরি হল অক্সিজেন]
২০১৯ সালের মে মাসে NKDA’র সহযোগিতায় কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ ফেলে দেওয়া বর্জ্য থেকে নির্মিত দ্রব্যসামগ্রীর একটি প্রর্দশনীর আয়োজন করেছিল ইকোপার্কে। গেরস্থালির নানা অপ্রয়োজনীয় কঠিন বর্জ্যের পরিসংখ্যান পেতে ২০২০ সালে, কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ নিউটাউনের AA ব্লকে একটি সার্ভে চালায় এবং বর্জ্য পদার্থগুলিকে পুনর্ব্যবহারের যোগ্য করে তোলার কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই পরিকল্পনা মতো ‘আই অ্যাম কলকাতা’ এবং কেএসসিএইচ ১৮টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দেন এবং উপযোগী জিনিস তৈরি শুরু করে। যেগুলি পরবর্তীকালে ভারতের নানা জায়গায় এবং বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে বলে দাবি করেছে সংস্থা। এই ধরনের ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তৈরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর বিক্রয় এবং প্রর্দশনীর জন্যই এনকেডিএ স্মার্টসিটি ‘জিরো ওয়েস্ট শপ’ চালু করে। এখানে রয়েছে ফেলে দেওয়া খবরের কাগজ থেকে তৈরি টেকসই টেবিল, চেয়ার। প্লাস্টিক এবং কাঁচের বোতল থেকে তৈরি ফুলদানি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র।