নব্যেন্দু হাজরা: পরিকল্পনা ছিল। প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রবিবারের দুপুরে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো ছোটানো হল না। এসপ্ল্যানেডে এসেই সফর থামানো হল। তবে কোনও বিপত্তি ছাড়াই বউবাজারের মাটির তলার অংশ পার করেছে দু’টি রেক। ব্যাটারিচালিত গাড়ি দিয়ে ঠেলে রেক দু’টিকে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডে নিয়ে আসা হয়। দু’একদিনের মধ্যেই সেগুলোকে সেখান থেকে হাওড়া ময়দানের উদ্দেশে গঙ্গার তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। তারপর শুরু হবে ট্রায়াল রান।
মেট্রো সূত্রে খবর, যে সময় ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, এসপ্ল্যানেড পৌঁছতে তার থেকে অনেকটা বেশি সময় লেগে যাওয়ার কারণেই এদিন বিকেলে আর গঙ্গাপার করতে চাননি আধিকারিকরা। ধর্মতলায় এসেই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। মেট্রো সূত্রে খবর, সকাল ৮.৩০ এবং ৮.৪০ মিনিটে রেক দু’টি সেন্ট্রাল পার্ক ডিপো থেকে রওনা হয়। প্রথমে শিয়ালদহে এনে রাখা হয়। পরে সকাল ১০.৩০ মিনিটে প্রথম রেকটি সেখান থেকে এসপ্ল্যানেডের উদ্দেশে রওনা হয়।
[আরও পড়ুন: মেয়ের হেনস্তার প্রতিবাদে গর্জে ওঠা প্রীতির পাশে তারকারা, কী প্রতিক্রিয়া প্রিয়াঙ্কা-হৃতিকদের?]
দুর্গাপিতুড়ি লেন, মদন দত্ত লেনের তলা দিয়ে যাওয়ার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয় এদিন। খুব ধীরে চলে ট্রেন। কারণ এই অংশে মাটি আলগা হয়ে বারবার বিপর্যয় হয়েছে। সেই বিপর্যস্ত এলাকায় মাটির তলা দিয়ে মেট্রো নিয়ে যাওয়াটা বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছিল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে এবিষয়ে মুখে কুলুপ কেএমআরসিএল কর্তাদের। কেউই রেক গঙ্গাপার করা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
যেহেতু দু’টি রেক এখনও হাওড়া ময়দানেই পৌঁছায়নি, তাই মহড়া শুরুর দিনও ঠিক হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহেই তা হবে বলে জানানো হয়েছে। মহড়া শুরুর মাস ছ’য়েক পর থেকেই যাত্রী পরিষেবা শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। এদিন গঙ্গাপার না হলেও কোনও বিপত্তি ছাড়াই ‘কঠিন বউবাজার’ পার হওয়ায় অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন কেমআরসিএলের কর্তারা। তাঁদের কথায়, আসল ফাঁড়া কেটে গিয়েছে। গঙ্গার তলা দিয়ে সমস্ত পরিকাঠামোই তৈরি। তৃতীয় লাইনে বিদ্যুৎও রয়েছে। তাই ওটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।