নিউজিল্যান্ড- ১৯৬/২ (মুনরো- ১০৯*)
ভারত- ১৫৬/৭ (কোহলি-৬৫, ধোনি-৪৯)
৪০ রানে জয়ী নিউজিল্যান্ড
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে নেহরা যুগের অবসান ঘটেছিল। সেই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে ধরাশায়ী করার নজির গড়েছিলেন বিরাট কোহলিরা। তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিলেন ১-০-য়। দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে তাই আত্মবিশ্বাস কি তুঙ্গে ছিল? সেই কারণেই কি ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনেই নামার প্রয়োজন মনে করেননি শাস্ত্রীর শিষ্যরা? নাকি অতিরিক্ত ম্যাচ খেলে ক্লান্ত ধোনি-পাণ্ডিয়ারা? ভারতের হারে এসব প্রশ্ন উঠলেও মনে রাখতে হবে উলটো দিকে রয়েছে বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল। তাই একটি হারের পর তারাও যে ছেড়ে কথা বলবে না, সেটাই স্বাভাবিক।
[অপেক্ষার শেষ, ডিসেম্বরের এই তারিখে ভারতে আসছেন ফুটবলের রাজপুত্র]
নভেম্বরে ভারতের মাটিতে সন্ধেয় ম্যাচ শুরু হওয়া মানে সে খেলার ভাগ্য গড়ে দিতে পারে শিশির। আর সেই শিরিরের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সব সতর্কতাই নিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। কিন্তু তাতে কলিন মুনরোর বিধ্বংসী ব্যাটিংকে থামানো যায়নি। তিনি একাই যেন সব তছনছ করে দিলেন। একটি উইকেট তুলতে ১১ ওভার নিলেন ভারতীয় স্পিনাররা। তবে শুধু বোলিং বিভাগকে কাঠগড়ায় তুলে লাভ নেই। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডাররা যেভাবে একাধিক ক্যাচ মিস করলেন, তাতে ম্যাচও মিস হয়ে গেল। হিসেব মতো রান তাড়া করতে নেমে অ্যাডভান্টেজে থাকার কথা ছিল বিরাটদেরই। কারণ শিশির ভেজা মাঠে পরে ফিল্ডিং করা মানেই বোলারদের সমস্যা বেশি। কিন্তু অসম্ভব যে কিছুই নয়, তাই প্রমাণ করলেন বোল্ট-সোধিরা। বুধবারের সমস্ত ভুল শুধরেই কিউয়িরা নেমেছিলেন রাজকোটের বাইশ গজে। চারটি উইকেট তুলে ভারতের ভিত নড়বড়ে করে দেন বোল্ট। আর গেম চেঞ্জার হার্দিক পাণ্ডিয়ার উইকেট নিয়ে সত্যিই গেম চেঞ্জ করে দিলেন সোধি। রোহিত থেকে ধাওয়ান, গত ম্যাচের সব হিরোরাই এদিন জিরো। ক্যাপ্টেন কোহলি ও ক্যাপ্টেন কুলই যা খানিকটা মুখ রক্ষা করলেন। তবে ধোনির টেকনিকে যে মরচে ধরেছে তা ঠিক। তাই বিরাট তাঁকে চার নম্বরে নামিয়ে হাত সেট করার সময় দিতেই পারতেন।
[পাণ্ডিয়ার এই ‘খুঁত’টি ধরে ফেলেছেন বিরাট, তথ্য ফাঁস হতেই শোরগোল]
এদিন রাজকোটে নতুনভাবে পথ চলা শুরু হয়েছিল ভারতের দুই তরুণ প্রতিভার। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করে আসা শ্রেয়স আইয়ার এবং হায়দরাবাদের উঠতি পেসার মহম্মদ সিরাজের দিকেই শনিবার নজর ছিল ক্রিকেটপ্রেমী থেকে বিশেষজ্ঞ, সকলের। কিন্তু প্রত্যাশা যতটা ছিল, এদিন ততটাও পূরণ হল না। বল হাতে উইকেট নিলেন ঠিকই কিন্তু চারটি ওভারে ৫৩ রান দিয়ে অতিথিদের বেশ সুবিধা করে দিলেন সিরাজ। এদিকে শ্রেয়াসও ব্যাট হাতে মারকাটারি হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবেই ক্ষণস্থায়ী হল তাঁর ইনিংস। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি কিউয়িরা জেতায় সিরিজ যে ফের জমে উঠল, তা বলাইবাহুল্য।
The post বোল্ট ঝড়ে ধরাশায়ী টিম ইন্ডিয়া, সিরিজে সমতা ফেরাল নিউজিল্যান্ড appeared first on Sangbad Pratidin.