সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের পর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ক্রিস কেয়ার্নস। এবার আরও বড় দুঃসংবাদ এল। জানা গেল, মারণ ক্যানসার থাবা বসিয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটারের শরীরে।
গত বছর আগস্টে ক্যানবেরায় থাকাকালীন ধমনী ছিঁড়ে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল তাঁর। তার আগেও একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সব মিলিয়েই অসুস্থতা বাড়ে। প্রভাব পড়ে হৃৎপিণ্ডতেও। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। কিন্তু যেভাবে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেবেন বলে আশা করেছিলেন চিকিৎসকরা, তেমনটা হয়নি। ফলে পরে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে আরও ভাল চিকিৎসার জন্য সিডনির স্পেশ্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিতও করা হয়েছিল ক্রিসকে। হৃদরোগের কারণে হয় অস্ত্রোপচার। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় পক্ষাঘাতে (paralysed) আক্রান্ত হন ক্রিস। দীর্ঘ ৫ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে গত সপ্তাহে ছুটি পেয়েছিলেন হাসপাতাল থেকে। কিন্তু তারপরই আবার এখন খারাপ খবর।
[আরও পড়ুন: সুভাষ ভৌমিক-সহ এগারো কর্তা-ফুটবলারের স্মৃতিচারণায় ব্যতিক্রমী স্মরণসভা মোহনবাগানে]
বিশ্বের এককালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ক্রিস সোশ্য়াল মিডিয়ায় লেখেন, “সামনে আবার একটা কঠিন লড়াই। এবার আশা করছি প্রথম রাউন্ডে একটা সুইফ্ট আপার কাট হবে।” এরপরই যোগ করেন, “গতকালই জানতে পারলাম আমার পেটে ক্যানসার হয়েছে। শুনেই বড়সড় ধাক্কা খেলাম। কারণ এমন কিছু একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। তাই নতুন করে আবার চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলাম। তবে প্রথম স্টেজেই যে ক্যানসারটা ধরা পড়েছে, তাতেই নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।”
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ক্রিস (Chris Cairns)। দেশের জার্সিতে খেলেছেন ৬২টি টেস্টে এবং ২১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ। টেস্টে তিন হাজারেরও বেশি এবং একদিনের ক্রিকেটে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার রান। দুই ফরম্যাটেই দু’শোর বেশি উইকেট রয়েছে ক্রিসের ঝুলিতে। অলরাউন্ডার হিসেবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ২০০০ সালে উইসডেন ক্রিকেটারের সম্মানও পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৪-এ টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণার সময় নিউজিল্যান্ড ‘অর্ডার অফ মেরিট’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন এই তারকা। যদিও কেরিয়ারের শেষে তাঁর গায়ে লেগেছিল ম্যাচ গড়াপেটার কালো দাগ। ক্রিকেট মহলে কুড়িয়েছিলেন সমালোচনা। তবে ব্রিটেনের আদালত পরে তাঁকে বেকসুর খালাসই করেছিল।