সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের জয়পুর (Jaipur) শহরের কুয়ো থেকে উদ্ধার হয়েছিল একই পরিবারের তিন বধূর দেহ। অভিযোগ ছিল, পণের দাবিতে তিনজনকে খুন করা হয়েছে। এবার সেই একই কুয়ো থেকে রবিবার এক সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার হল। মৃত তিনজনের মধ্যে দুজন অন্ত্বঃসত্তা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন কুয়োতেই সন্তান প্রসব করেছিলেন বলে মনে করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার জয়পুরের ডুডু শহরের একটি কুয়ো থেকে পাঁচটি দেহ উদ্ধার হয়েছিল। মৃত তিন তরুণী সম্পর্কে তিন বোন তথা একই পরিবারের তিন বধূও বটে। মৃত এক তরুণীর দুই সন্তানও ছিল। অভিযোগ, পণের দাবিতে তাদের খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এদিকে এদিন সকালে সেই একই কুয়োতে আরও একটি দেহ ভাসতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে উদ্ধারকার্যে নামে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা, মৃত এক তরুণীই কুয়োতে সন্তান প্রসব করেছেন। এদিন দেহ উদ্ধারের পরই কুয়োর মুখ ঢেকে দিতে নির্দেশ দেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: কেরিয়ারে হোঁচট খাওয়ার ভয়? বিয়ের কথা ৩ মাস গোপনে রেখেছিলেন প্রয়াত মডেল মঞ্জুষা]
মৃত তিন বোনের নাম কালু মীনা (২৫), মমতা মীনা (২৩) ও কমলেশ মীনার (২০) দেহ। একই পরিবারে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। মৃতের বাবার অভিযোগ, পণের দাবিতে তিন বোনের উপরে নিয়মিত নির্যাতন চালাত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যরা। কিছুদিন আগেই ছোট বোন কমলেশ বাবাকে ফোন করে সেই কথা জানায়ও। কমলেশ জানায়, তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এরপর ওই ব্যক্তি মেয়েদের শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন। যদিও তাঁকে গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকী বলা হয়, তাঁর মেয়েরা মারা গিয়েছে। উনি যেন এখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির কাছের কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় তিন বোন ও দুই শিশুর দেহ। দুই শিশু বড় বোন কালুর সন্তান। একজনের বয়স ৪ বছর, অন্য জনের বয়স ২২ দিন। জানা গিয়েছে, অন্য দুই বোনও ৭ ও ৮ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তাঁদের আরেক সদ্যোজাতর দেহ ওই কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হল।