অর্ণব আইচ: গত মাসের ১৮ তারিখ পাঞ্জাবে প্রকাশ্যে দুই পুলিশকর্মীকে খুন করেছিল জয়পাল ভুল্লার। তার পরই নিউটাউনে ঘাঁটি বানায় পাঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার ও তার সঙ্গী জসপ্রীত জসসি। অপহরণ থেকে খুন, ডাকাতি থেকে অস্ত্রপাচার, এরকম ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। শুধু পাঞ্জাব নয়, দেশের ৪ রাজ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এমনকী, জয়পালের মাথার উপর ১০ লক্ষ ও জসসির মাথায় ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ধার্য করেছিল পাঞ্জাব পুলিশ।
মে মাসের ১৮ তারিখ পাঞ্জাবের দুই পুলিশ কর্মীকে খুন করে গা ঢাকা দিয়েছিল জয়পাল ( Jaipal Bhullar) ও তার সঙ্গী জসপ্রীত জসসি। তখনই বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশকে সতর্ক করেছিল পাঞ্জাব পুলিশ। দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডের সীমানা দিয়ে কীর্তিমান জুটির বাংলায় প্রবেশের খবরও পেয়ে গিয়েছিল এ রাজ্যের পুলিশ ও এসটিএফ। তখন থেকে তাদের খোঁজ শুরু করেছিল পুলিশ। প্রথমে মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে পরে সূত্র মারফত জয়পাল ও জসপ্রীতের ঠিকানা খুঁজে বের করে ফেলে কলকাতা পুলিশ। তার পরই বুধবার দুপুরে নিউটাউনের বহুতল অভিজাত আবাসনে অভিযান চালায়।
[আরও পড়ুন: উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা চেয়ে কংগ্রেসকে প্রস্তাব, আগ বাড়িয়ে জোট ভাঙবে না CPIM]
পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি দলে ভাগ হয়ে অভিযান চালিয়েছিল এসটিএফ। ফ্ল্যাটের নিচে পুলিশকে দাঁড়িয়ে তাকতে দেখেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে কীর্তিমানেরা। অন্য েকটি দল সেই সুযোগে পাঁচতলায় উঠে দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। ঠিক সেই সময় আলমারির পাশ এবং খাটের তলা থেকে ছুটে আসে গুলি। স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে দুজনে। গুলিতে জখম হন এসটিএএফের এক ইন্সপেক্টর কার্তিক ঘোষ। এদিকে পালটা গুলি ছোঁড়ে এসটিএফও। যারজেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জয়পাল ও তার সঙ্গী জসপ্রীত জসসির।
এসটিএফ সূত্রে খবর, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালানের চুক্তি করতেই কলকাতায় ঘাঁটি গেড়েছিল পাঞ্জাবের দুই দুষ্কৃতী। ঘটনা প্রসঙ্গে এসটিএফের এডিজি বিনীত গোয়েল জানান, “ওই ফ্ল্যাট থেকে ৫টি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে ৮৯ রাউন্ড গুলি। এবং ৭ লক্ষ নগদ টাকা।” আপাতত দুটি দেহের ময়নাতদন্তের পর তদন্ত শুরু করবে সিআইডি। এদিকে কলকাতায় এসে পৌঁচছে পাঞ্জাব পুলিশের বিশেষ দল। তাঁরাও দুই কুখ্যাত অপরাধীকে শনাক্ত করেছে বলেও খবর।