কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: নিউটাউন এনকাউন্টার (Newtwon Encounter) কাণ্ডে এবার জড়াল অস্ত্র পাচার চক্রও। ধৃত ভরত কুমার, সুমিত কুমাররা ভিন রাজ্যে অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত – প্রাথমিকভাবে এমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা। আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে নিহত গ্যাংস্টার জয়পাল এবং জসপ্রীতের নাম জড়িয়েছিল আগেই। এবার জানা গেল, অপরাধের বহর আরও বেশি। মাদকের পাশাপাশি অস্ত্র কারবারের (Arms case) সঙ্গেও জড়িত এই চক্র। আরও জানা গিয়েছে, ‘সুখবৃষ্টি’ আবাসনে আসার আগে তারা নিউটাউনেরই একটি গেস্ট হাউসে দিন কয়েক কাটিয়েছে। এবার সেই গেস্ট হাউসটি চিহ্নিত করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।
আরও ছড়াচ্ছে নিউটাউনে এনকাউন্টার কাণ্ডের জট। মাদক থেকে অস্ত্র, বেআইনি মোবাইলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে অপরাধমূলক কাজ – সব কিছুরই যোগ মিলছে একে একে। শুক্রবার হরিয়ানার (Haryana)মেহাম থেকে সুমিত কুমার গ্রেপ্তার হওয়ার পর পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) হাতে এসেছে আরও নানা তথ্য। আগেই জানা গিয়েছিল, সুমিত এবং ভরত মিলে আন্তর্জাতিক সিম কাণ্ডের বেআইনি ব্যবসা চালাত। এবার জানা গেল, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে অস্ত্র কারবারের সঙ্গেও জড়িত তারা। এমনকী নেপাল, বাংলাদেশেও অস্ত্র পাচারের ক্ষেত্রে এদের ভূমিকা রয়েছে। জানা গিয়েছে, সুমিতের বন্ধু পাঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল অমরজিৎ সিংয়ের কথাও। তার পরিচয় পত্র ব্যবহার করেই ভুয়ো নথি তৈরি করেছিল সুমিত। সেই নথি দিয়ে ভরতকে সাহায্য করেছিল সে।
[আরও পড়ুন: দু’মাস আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে স্ট্র্যান্ড রোড, জেনে নিন কোন পথে যান চলাচল]
অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের এসটিএফও (STF) তদন্তে জানতে পেরেছে আরও অনেক কিছুই। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলার নম্বরপ্লেট লাগানো গাড়ি নিয়ে ঝাড়খণ্ড হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করে সোজা নিউটাউনের ‘সুখবৃষ্টি’ আবাসনে ওঠেনি ভরত, জসপ্রীত, জয়পালরা। তার আগে দিন কয়েক হোটেলে কাটিয়েছিল। নিউটাউনেরই এক গেস্ট হাউসের নাম উঠে এসেছে। যেখানে তারা একসঙ্গে পার্টিও করেছিল। তারপর তারা ‘সুখবৃষ্টি’ আবাসনে আসে। অর্থাৎ হিসেবমতো ২৩ মে’র বেশ কয়েকদিন আগেই কলকাতায় ঢুকেছিল গ্যাংস্টাররা। কোথায় কোথায় ছিল, তা জানতে পুলিশ মেট্রো স্টেশন লাগোয়া কয়েকটি হোটেলেও তল্লাশি শুরু করেছে বলে খবর। এছাড়া বিশেষভাবে পুলিশের স্ক্যানারে নিউটাউনের ওই গেস্ট হাউসটি। সবমিলিয়ে, এনকাউন্টার রহস্যের জট আরও বাড়ছে। সূত্রের খবর, এ নিয়ে এসটিএফ আগামী সপ্তাহে ডিজিকে রিপোর্ট দেবে।