দুলাল দে, সোচি: কান্নায় ভেঙে পড়লেন নেইমার। চোখের জল যেন বাধ মানতে চাইছে না। মায়ের কাঁধে মাথা রেখে বেশ খানিকক্ষণ কাঁদলেন ব্রাজিলীয় পোস্টারবয়। বিশ্বকাপের আগে নেইমারের এমন দৃশ্য আবেগপ্রবণ করে তুলেছে তাঁর ভক্তদের। কিন্তু নেইমারের চোখে জল কেন?
সাওপাওলোর সান ভিসেন্তে বড় হয়েছেন প্যারিস সাঁ জাঁ স্ট্রাইকার। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছোট নেইমারের বড় হওয়ার জার্নিটা নেহাত সুখের ছিল না। ছোট্ট একখানি ঘর। সেখানেই থাকতেন পড়াশোনা, খাওয়া-দাওয়া, শোয়া-বসা-টিভি দেখা। আর সেই ঘরের এক কোণে থাকত একটা ফুটবল। যা রোজ স্বপ্ন দেখাতো নেইমারকে। ছোটবেলার সেই স্মৃতি নতুন করে ভেসে উঠেছে নেইমারের চোখের সামনে। সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেল তাঁর বাল্যকালের সেই ঘরটি হুবহু রেপ্লিকা বানিয়ে সারপ্রাইজ দেয় নেইমারকে। আর চ্যানেলের তৈরি সেই ‘সেট’-এ পৌঁছেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্রাজিলীয় তারকা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা ও বান্ধবী ব্রুনাও। ফেলে আসা স্মৃতি এভাবে উপহার দেওয়ায় পরে চ্যানেলের সঞ্চালককে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন নেইমার। তবে এ ঘটনা ব্রাজিলে থাকাকালীন। আপাতত রাশিয়ার সোচিতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে মন দিয়েছেন তিনি। আর তারই মাঝে মঙ্গলবার ভ্যালেনটাইনস ডে পালন করলেন নেইমার-সহ দলের বাকি সদস্যরা। আর তাতেই আলোচনায় উঠে এল ব্রুনা ও নেইমারের প্রেমকাহিনি।
[বিশ্বকাপের আগে মহাবিতর্কে সালাহ, কী করলেন ‘মিশরীয় মেসি’?]
ঘটনা গত বিশ্বকাপের। মহারণ শুরুর একমাস আগে নেইমারের বান্ধবী ব্রুনা খবর পেয়েছিলেন, তাঁর প্রতি আর বিশ্বস্ত নেই নেইমার। অন্য একজন ব্রাজিলিয়ান বান্ধবীকে বার্সেলোনা উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে সপ্তাহখানেক রেখেছিলেন তাঁর কাছে। এমনকী, এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ থেকে সেই ব্রাজিলিয়ান মহিলার বিমানের টিকিটও বের করে ফেলেছিলেন ব্রুনা! বিশ্বকাপ শুরুর মুখে দেশে ফিরেছিলেন নেইমার। ইমেজের নিকুচি করেছে! গন্তব্য: ব্রুনার শুটিং সেট। তারপর নেমারের অনুনয়-বিনয়। এই ছবি আর খবর তখন বড় বড় করে ছাপা হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান পত্রপত্রিকায়।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে আগেই ব্রুনা ফিরেছিলেন নেইমারের জীবনে। তারিখটা চার বছর আগের ১২ জুন। ব্রাজিলের ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’-তে। সারা পৃথিবী যখন ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ পালন করে, ব্রাজিলে সেই ‘প্রেমতারিখ’ ১২ জুন। স্বাভাবিকভাবেই প্র্যাকটিস শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে গোলকিপার আলিসন বলছিলেন, ‘এই দিনটায় খুব মিস করছি স্ত্রীকে। বাচ্চাদেরকেও। দলের অন্যান্যদের হাল একই।’ একে কুটিনহোর জন্মদিন, তার উপর ভ্যালেন্টাইনস ডে। স্ত্রী, বাচ্চারা দেশে। যদিও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররা দিনটা কাটালেন উৎসবের মেজাজেই। মাঝে প্র্যাকটিসের সময়টুকু ছাড়া। যে যেরকমভাবে পারলেন, স্ত্রী-বান্ধবীদের ছবি পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
[এই তো সবে শুরু, সমর্থকদের ভারতীয় ফুটবলের পাশে থাকার আরজি সুনীলের]
ব্রুনার সঙ্গে নিজের একটা ভিডিও ক্লিপিংস শেয়ার করলেন নেমার। স্ত্রীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করলেন থিয়াগো সিলভা। ভ্যালেনটাইনস ডে অন্যভাবে কাটানোর জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে পোস্টের তালিকায় কে নেই! কুটিনহো, উইলিয়ান। মার্সেলোতো রিয়াল জার্সিতে মাঠেই স্ত্রীকে আলিঙ্গনের ছবি পোস্ট করেছেন।
The post বিশ্বকাপের আগে এভাবেই ভ্যালেন্টাইনস ডে কাটালেন নেইমার appeared first on Sangbad Pratidin.