সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ (Marrital Rape) নিয়ে পুরনো বিতর্কে নয়া মাত্রার সংযোজন। এবার আসরে নামল একটি পুরুষ অধিকার সংগঠন। তাঁদের দাবি, বৈবাহিক ধর্ষণকে যদি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়, এবং সেটা অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়, তাহলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির উপর বিশ্বাস হারাবেন মানুষ।
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের প্রসঙ্গ টানা যায় কিনা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে দেশে। অনেকের মতে বিষয়টি পশ্চিমী সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা হয়েছে। এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক চলছে। বহু মামলাও হয়েছে। কিন্তু এখনও আমাদের দেশে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও আইন নেই। এই মুহূর্তে এই সংক্রান্ত মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court)। তবে কিছুদিন আগে একটি গর্ভপাত সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, বিবাহিত মহিলারাও ‘ধর্ষণে’র শিকার হতে পারেন। স্বামীর আচরণে অবাঞ্ছিত ভাবে গর্ভবতী হতে পারেন মহিলারা।
[আরও পড়ুন: সাংগঠনিক বৈঠকে মঞ্চে জায়গাই পেলেন না রাহুল সিনহা! গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা বনশলের]
তারপরই আসরে নামল পুরুষ আয়োগ ট্রাস্ট নামের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দাখিল করেছে তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ভারতীয় আইন অনুযায়ী স্ত্রী প্রাপ্তবয়স্ক হলে জোর করে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে স্বামীকে শাস্তি দেওয়া যায় না। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির দাবি, বৈবাহিক ধর্ষণ স্বীকৃত হলে অনেক বিয়ে উপযুক্ত বিচার ছাড়াই ভেঙে যেতে পারে। কারণ জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ প্রমাণের ক্ষেত্রে স্ত্রীর জবানবন্দি ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকে না। পুরুষের কাছে নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করার কোনও উপায় থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই বিয়ে নামক সংস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস উঠে যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: হাতে চাবির গোছা, বাইপাসের ধারে আবাসনের নিচ থেকে উদ্ধার প্রাক্তন বিমানসেবিকার দেহ]
পুরুষ অধিকার সংগঠনটির যুক্তি, প্রতি বছর মহিলাদের ভুয়ো নারী নির্যাতন এবং গার্হস্থ্য হিংসার (Domestic Violence) অভিযোগে বহু পুরুষ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। এবার যদি বৈবাহিক ধর্ষণ বৈধতা পায়, তাহলে তার অপব্যবহার হবে এবং বহু নিরপরাধ পুরুষ শাস্তি পেয়ে যাবে।