সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “নরেন্দ্র মোদির সরকার কোনও সম্প্রদায়ের ক্ষতি চায় না। এই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হল সন্ত্রাসবাদকে গোড়া থেকে উচ্ছেদ করা।” সোমবার লোকসভায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)-র সংশোধনী বিল ২০১৯, পাশ হওয়ার এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
[আরও পড়ুন- জি নিউজের বিরুদ্ধে মহুয়া মৈত্রর মানহানি মামলা, শুনানি পিছোল ২০জুলাই পর্যন্ত]
সোমবার এই বিল পাশের মাধ্যমে সংশোধন করা হল ২০০৮ সালের এনআইএ আইন। এর ফলে এখনও থেকে মানব পাচার, জালনোট, অবৈধ অস্ত্র নির্মাণ, সাইবার সন্ত্রাস এবং ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনে নথিভুক্ত অপরাধের তদন্ত করতে পারবে এই সংস্থাটি। পাশাপাশি প্রয়োজনে বিশেষ আদালতও তৈরি করতে পারবে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রে ভারতের বাইরে গিয়েও তদন্ত করতে পারবে তারা।
এই বিল পেশ করার পরেই এটির অপব্যবহার হবে বলে দাবি করে বিরোধীরা। কিন্তু, এই দাবি উড়িয়ে দেন অমিত শাহ। উলটে তিনি বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে এই আইনের অপব্যবহার করবে না মোদি সরকার। তেমনি তদন্তের সময় অপরাধী কোন ধর্মের তাও দেখা হবে না। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন- ‘মুসলিমরা পশুর মতো প্রচুর সন্তানের জন্ম দেয়’, বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের]
আজ এই বিল নিয়ে আলোচনার সময় পোটা আইন রদ করার জন্য ইউপিএ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন অমিত শাহ। তাঁর অভিযোগ, নিজেদের ভোট ব্যাংক বাঁচাতেই ওই আইন রদ করে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিং যখন এই বিল নিয়ে কথা বলছিলেন তখন তাঁকে কটাক্ষ করেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এর উত্তরে অমিত শাহ তাঁকে অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার পরামর্শ দেন।
এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এই বিলটি পাশ করানোর জন্য সমস্ত সাংসদদের কাছে সমর্থন প্রার্থনা করেন। এর প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি অভিযোগ করেন, ভারতকে পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে অন্য বিরোধী নেতারা বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই এই আইন পাশ করাতে চলেছে কেন্দ্র।” যদিও এর উত্তরে সরকারের এই ধরনের কোনও মানসিকতা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, “মোদি সরকার কখনও আইনের অপব্যবহার করে না।”
The post সাইবার সন্ত্রাসের তদন্তেও এবার এনআইএ, লোকসভায় পাশ সংশোধনী বিল appeared first on Sangbad Pratidin.