জ্যোতি চক্রবর্তী ও অর্ণব দাস: সিবিআই, ইডি, আয়কর দপ্তরের পর এবার সক্রিয় NIA। মানব পাচার চক্রের সন্ধানে বুধবার ভোররাত থেকে একযোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বারাসত থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার ঠাকুরনগর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ২জনকে আটক করা হয়েছে।
পাসপোর্টের সূত্র ধরে এদিন ভোররাতে ঠাকুরনগর হাজরাতলার আনন্দ পাড়াতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA-এর একটি দল। ভোররাত থেকে প্রায় সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত ওই বাড়িতে ছিল দলটি। সেখান থেকে একজনকে আটক করা হয়। আটক ওই ব্যক্তির নাম বিকাশ সরকার।
[আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! কালীপুজো-ভাইফোঁটায় কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানাল হাওয়া অফিস]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছর ধরে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে এখানে ভাড়া থাকতেন বিকাশ। তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন ২০১০ সালে। প্রথমে মধ্যমগ্রামে একটি দোকানে মোবাইল সারানোর কাজ করতেন। পরিচিত একজনের মারফত বনগাঁর ঠাকুরনগরে বাড়িতে ভাড়া নিয়েছিলেন। বর্তমানে ঠাকুরনগরের ১ নম্বর প্লাটফর্মে একটি মোবাইল সারানোর দোকান আছে তাঁর। আটক ব্যক্তির স্ত্রী ঝর্ণা সরকার জানিয়েছেন, ৪-৫ মাস আগে তিনি চিকিৎসা করতে ভারতে এসেছিলেন। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি এই বাড়িতেই রয়েছেন স্বামীর কাছে রয়েছেন ৷ বাংলাদেশের যশোরে তাঁর বাড়ি বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বারাসতের তিন জায়গা- চাঁপাডালি, নবপল্লি আর শালবাগানে NIA অভিযান চলে বলে খবর। নবপল্লিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয়. আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাতে নবপল্লির ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন রমেশপল্লির বাসিন্দা ব্যবসায়ী সঞ্জীব দেবের বাড়িতে চলে তল্লাশি অভিযান। তাঁর কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। চাঁপাডালি থেকে একজন ব্যক্তি গ্রেপ্তার করা হয়। যার তিনটি আলাদা নাম পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা রাজু রুদ্র। বারাসতে একটি স্কুলের সার্টিফিকেটে লেখা রাজু ধন। আবার এলাকায় শঙ্কু নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে ৮-৯টি মোবাইল মিলেছে। চাঁপাডালি মোড়ে একটিপর্যটন সংস্থার দোকানে এখনও তল্লাশি চলছে।
[আরও পড়ুন: স্টোনম্যান আতঙ্কে কাঁপছে বীরভূম! দুসপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার, যুবককে মাথা থেঁতলে খুন]