মাসুদ আহমেদ: লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি তানিয়া পারভিনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। ওই অভিযোগপত্রে তানিয়ার সঙ্গে এক পাকিস্তানি নাগরিক-সহ আরও দুই সন্ত্রাসবাদীর নাম রয়েছে।
[আরও পড়ুন: টানা তিনদিন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, জেনে নিন কলকাতায় আজ কত পেট্রল-ডিজেলের দাম]
জানা গিয়েছে, বুধবার কলকাতার বিশেষ আদালতে তানিয়া পারভিন ওরফে ইসরানুর, সৈয়দ মহম্মদ ইদ্রিস ওরফে মুন্না ও আয়েশা ওরফে আয়েশা বুরহান ওরফে আয়েশা সিদ্দিকির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ধৃত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে UAPA-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। উল্লেখ্য, অভিযুক্তদের মধ্যে আয়েশা সিদ্দিকি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। ইদ্রিস ওরফে মুন্নার ঘর কর্নাটকে। ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক ছিল ধৃত জঙ্গিদের। এই পরিকল্পনায় জেহাদি মডিউলটিকে মদত দিচ্ছিল পাকিস্তানের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারেনি ওই জঙ্গিরা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কলেজছাত্রী তানিয়া পারভিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল এনআইএ। ওই বছরের মার্চ মাসে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থেকে জঙ্গিযোগ সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় স্নাতকের ছাত্রী তানিয়া পারভিনকে। তাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। এর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে মামলাটির তদন্তভার নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তানিয়াকে জেরা করে উঠে আসে বহু গোপন তথ্য। কলেজছাত্রী নিজে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের হয়ে কাজ করতে শুরু করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ তৈরি করে তার মতো বহু যুবক, যুবতীকে জেহাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত করত। এভাবে সে মডিউল তৈরি করে ফেলেছিল। অনলাইনে জঙ্গিদের নিয়োগ করা হত। আর সবটাই তানিয়া করত বাদুড়িয়ায় বসে। তারপর তাকে জেরা করে কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বান্দিপোরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় লস্কর জঙ্গি আলতাফকে।