অর্ণব আইচ: রোহিঙ্গাদের (Rohingya) নিয়ে দেশে তৈরি হচ্ছে নতুন জঙ্গি মডিউল! ঘরে ঘরে জঙ্গি তৈরি করতে সন্ত্রাসবাদীদের হাতিয়ার রোহিঙ্গা ললনা! বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে মহিলা রোহিঙ্গাদের পাচার করা হচ্ছে বাংলায়! উদ্দেশ্য একটাই, জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের বিয়ে দেওয়া। পরিবার তৈরি করা। যাতে তাঁদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ‘জেহাদি’ তৈরি করা যায়। নাশকতার দীর্ঘমেয়াদি ‘মোডাস অপারেন্ডি’ নিয়ে কাজ করছে জেহাদিরা। NIA তদন্তে উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য।
শুধু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ, মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের ঠাঁই দিতেও আশ্রয় কাজ করবেন এই রোহিঙ্গা মহিলারা। আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে সহজেই তাঁদের বাড়িতে আশ্রয় নিতে পারবে জেহাদের উদ্দেশ্য নিয়ে এদেশে আসা রোহিঙ্গারা। মহিলাদের পরিচয় দিয়ে সহজেই বাড়ি ভাড়াও পেয়ে যাবে তারা। আর রোহিঙ্গা ললনা পাচারে জেহাদিদের ভরসা মহিলা পাচারকারী। তদন্তে নেমে NIA রাডারে তপতী নামে জনৈক মহিলা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও এখনও মুক্ত তপতী।
[আরও পড়ুন: আপাতত জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা কম্যান্ডে, ইডিকে বিকল্প হাসপাতাল খোঁজার নির্দেশ হাই কোর্টের]
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাল পাসপোর্ট ও ভুয়া নথিপত্র দিয়ে এই দেশে বসবাস করছে রোহিঙ্গারা, এমনই অভিযোগ উঠেছে। এর আগে কাশ্মীর থেকে জাহিরুদ্দিন নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করে বেশ কিছু জাল নথি ও পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। তার পরই এই ব্যাপারে এনআইএ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে, মূলত মায়ানমার ও বাংলাদেশ হয়ে রোহিঙ্গাদের পাচার করে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দিয়ে কীভাবে হামলা চালানো যায়, সেই ছক কষছে ওই জঙ্গি সংগঠনের মাথারা। হামলা চালানোর জন্য তাদের অস্ত্র ও বিস্ফোরকের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। জেহাদি ভাষণ দেওয়ার জন্য ‘টেরর সেল’ তৈরি করা হচ্ছে। এর তদন্তে নেমে সারা দেশের দশটি রাজ্যে একসঙ্গে তল্লাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া, বারাসত ও গাইঘাটায় তল্লাশি চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ রয়েছে বলে তদন্তকারীদের ধারনা।