গোবিন্দ রায়: তদন্ত শুরুর ৭২ দিনের মাথায় মোমিনপুর কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। শনিবার বিশেষ এনআইএ আদালতে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতে জমা পড়া প্রায় ৪০০ পাতার চার্জশিটে ১৬ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির হিংসা ছড়ানো, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের একাধিক ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, এই ১৬ জনের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জন ফেরার। বাকি ২ জনের বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে। এছাড়াও ৭০ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পলাতকদের খুঁজতে এবং এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এদিন এনআইএয়ের তরফে আবেদন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘রবীন্দ্র-নজরুলের চেয়ে কম নন মমতা’, নদিয়ার স্কুলের বুক লিস্টে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি, বিতর্কে প্রধান শিক্ষক]
মোমিনপুরে ঝামেলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের হাতে ছেড়ে দেয় হাই কোর্ট। সেই মতো গত ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে তদন্তভার নেয় এনআইএ। দুমাসের বেশি সময় তদন্তে পরপর বেশ কয়েকবারই মোমিনপুরে যায় এনআইএ। ঘুরে দেখে মোমিনপুর এলাকা। ১৭টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়। লালবাজারেও যায় তারা।
তবে সূত্রের খবর, উল্লেখযোগ্য ভাবে এই মামলায় কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত ২০ জনকে হেফাজতে নিয়েছিল এনআইএ। পরে তাঁদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই ৮ জনেরই নাম রয়েছে চার্জশিটে। বাকিদের সঙ্গে এই মামলায় যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে। তাঁদেরকে এই মামলা থেকে মুক্ত করার জন্য আবেদনও জানানো হয়। প্রসঙ্গত, এই মামলায় কলকাতা পুলিশও পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে।