সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণে ও মুম্বই জুড়ে নাশকতা চালানোর সব রকম ফন্দিই হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নানা প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে ১০ জন। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA দাবি করেছে, তৈরি হচ্ছিল ‘স্লিপার সেল’ও।
প্রসঙ্গত, পুণে, মুম্বই, থানে, রত্নগিরি ও গোদিয়ায় পরপর তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দেহভাজনদের। শুক্রবার, এনআইএ পড়ঘা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া শামিল নাচনকে আদালতে পেশ করে। এরপরই আদালতে এনআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে,মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আরেক অভিযুক্ত আকিব নাচনের সঙ্গে দুজনেই বিস্ফোরক রাসায়নিক ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে পুণে গিয়েছিল। সেখান থেকে দুজনেই বিস্ফোরক রাসায়নিক নিয়ে ফিরে আসে। যদিও অভিযুক্তরা এই নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। আর তাই এনআইএ-কে বিভিন্ন অঞ্চলে ওই বিস্ফোরক খুঁজে পেতে তল্লাশি চালাতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘একটু কমিয়ে দিতে বলুন না’, মহিলার আবেদনে অবাক ফিরহাদ]
উল্লেখ্য, ভারতে দ্রুত শিকড় ছড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। জম্মু-কাশ্মীর ও পশ্চিমবঙ্গ জেহাদি দলটির ‘ট্রানজিট রুট’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে গোয়েন্দা মহলে। সূত্রের খবর, কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির জায়গা নিতে চাইছে আইএস। বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে জামাত-উল-মুজাহিদিনের হাত ধরে ঢুকে পড়েছে সংগঠনটি। বিশ্লেষকদের সাফ কথা, ইসলামিক স্টেট শুধুমাত্র একটি দল নয়। এটি একটি মতাদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার উদ্দেশ্য গোটা বিশ্বে শরীয়ত আইন লাগু করে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করা। আর এর জন্য ভারতীয় মহাদেশে প্রস্তুতি শুরু করেছে সংগঠনটি।