সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির নরম গদি অতীত, এখন জেলের শক্ত চৌকিতেই বসতে হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। এককালের দাপুটে তৃণমূল নেতা, দীর্ঘদিনের মন্ত্রী আজ প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ সেলের বাসিন্দা। এই ঘরেই এক সময় বন্দি ছিলেন অভিনেতা তথা সমাজকর্মী নাইজেল আকারা (Nigel Akkara)। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
মাত্র একুশ বছর বয়সে অপহরণ-সহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন নাইজেল। সংশোধনাগার থেকেই তিনি স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় পাশ করেন। অভিনয় নাইজেলের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ২০১২ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম সিনেমা ‘মুক্তধারা’। এখন অভিনয়ের পাশাপাশি নানা সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত নাইজেল। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, আলিপুর ও প্রেসিডেন্সি দুই সংশোধনাগারেই তাঁকে থাকতে হয়েছিল। প্রথমে আলিপুরে, পরে প্রেসিডেন্সিতে ছিলেন নাইজেল।
[আরও পড়ুন: শৈবালের আত্মহত্যার চেষ্টার নেপথ্যে কি স্ত্রী ও শাশুড়ি? অভিনেতার ফেসবুক ভিডিও ঘিরে জল্পনা]
অভিনেতার কথা অনুযায়ী, প্রত্যেক সংশোধনাগারের কাঠামো আলাদা। প্রেসিডেন্সিতে ৪৪টি সেল রয়েছে। একটি বিভাগে ১ থেকে ২২টি সেল রয়েছে। আবার ২৩ নম্বর থেকে ৪৪ নম্বর সেল অন্য সেকশনে। প্রত্যেকটি সেল ঘেরা রয়েছে। কয়েদিরা কেউ কারও মুখ দেখতে পায় না। অপরাধের গুরুত্ব বুঝে আইসোলেশন ঠিক করা হয়। যাঁর অপরাধ যত বেশি, তাকে তত খারাপভাবে রাখা হয়।
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যাওয়ার পর পয়লা বাইশে (যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাখা হয়েছে) থাকতে হয়েছিল নাইজেলকে। সেই জায়গাটি কেমন? অভিনেতা জানান, পয়লা বাইশে যাদের রাখা হয় তাঁরা সপ্তাহে দু’দিন বাইরের মানুষের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তখনই বাইরের খাবার খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। রান্না করে নিয়ে যাওয়া খাবার বন্দিকে দেওয়া হয় না। তবে আদালতের বিশেষ নির্দেশ থাকলে বন্দিকে প্রকাশ্যে আনা হয় না বলেই জানাচ্ছেন নাইজেল।