সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানোয়ার যাত্রায় বেরিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হলেন পুণ্যার্থীরা। কানোয়ার যাত্রীদের গাড়ি ছুঁয়ে গেল ওভারহেডের তার। যার জেরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ৯ জনের। পাশাপাশি আরও একাধিক জন এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। রবিবার ভোররাতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলার হাজিপুর এলাকার সুলতানপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, সোনপুরে বাবা হরিহরনাথ মন্দির থেকে জলাভিষেক করে ফিরছিলেন কানোয়ার যাত্রীরা। বিরাট জৌলুসের সঙ্গে চলছিল এই যাত্রা। পথে রাস্তার ধারে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা খায় পুণ্যার্থীদের গাড়ি। সেটির উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় উপরে ওভার হেডের তারের সংস্পর্শে আসে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৯ জনের। পাশাপাশি আহত হন আরও ৬ জন। তাঁদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সকলকে উদ্ধার করে হাজিপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জয়নগরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত ১, আহত শিশু-সহ ৪]
হাজিপুরের এসডিপিও ওম প্রকাশ বলেন, একটি গাড়িতে ডিজে সাজিয়ে যাচ্ছিলেন ওই পুণ্যার্থীরা। গাড়িটির উচ্চতা অনেক বেশি থাকায় পথে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আসে গাড়িটি। যার জেরে ঝলসে মৃত্যু হয় ৯ জনের। বাকিরা আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। যাঁরা এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের সকলে পরিচয় আমরা জানতে পেরেছি। এই তীর্থযাত্রীদের সকলেই জেঠুই গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগকে ফোন করা হয়েছিল। তার পরও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। যদি তা করা হত তাহলে বেশ কয়েকজনকে বাঁচানো যেত।
[আরও পড়ুন: বাড়ির দেওয়ালে পাকিস্তানের জয়গান! ‘পাকপ্রেমী’ যুবককে আটক দিল্লি পুলিশের]
উল্লেখ্য, এই কানোয়ার যাত্রাকে মাথায় রেখে পুণ্যার্থীদের স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির তরফে। যাত্রা পথের দুপাশে খাবার ও মাংসের দোকান নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে। খাবারের দোকানগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দোকানের বাইরে দোকান মালিকের নাম ও পরিচয় স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। যা নিয়ে বিতর্ক চরম আকার নেয়। বিষয়টি গড়ায় শীর্ষ আদালতে। এর পর দুই রাজ্যসরকারের নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।