সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে চাঞ্চল্যকর মোড়। খুব শীঘ্রই সমাজবাদী পার্টিতে (Samajwadi Party) যোগ দিতে পারেন মায়াবতীর দলের ৯ বিধায়ক। ইতিমধ্যেই সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের (Ahilesh Yadav) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ওই ৯ জন। জল্পনা অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই মায়াবতীর হাত ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে পারেন তাঁরা। ওই বিধায়কদের বক্তব্য নেত্রী হিসেবে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন মায়াবতী।
যদিও বহুজন সমাজ পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই ৯ জন বিধায়ককে দল আগেই সাসপেন্ড করেছে। বস্তুত, গত একবছরে এই নিয়ে মোট ১১ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করল BSP। এদের মধ্যে ৭ জন রাজ্যসভা নির্বাচনের সময়ই দলের হুইপ না মেনে অখিলেশের দলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অথচ, তাঁদের কারও বিধায়ক পদ বাতিল হয়নি। এই ৯ জন বিধায়কের দলত্যাগের ফলে নিজের রাজ্যেই মায়াবতীর দল কার্যত শক্তিহীন হয়ে গেল। ২০১৭ বিধানসভায় বিএসপি (BSP) মাত্র ১৯টি আসন জিতেছিল। এর মধ্যে ১ টি আসন উপনির্বাচনে হারে তারা। বাকি ১৮ জনের মধ্যেও এক বছরে সাসপেন্ড হয়েছেন ১১ জন। অর্থাৎ যোগীর রাজ্যে বিএসপির বিধায়ক সংখ্যা বাকি রইল মাত্র ৭।
[আরও পড়ুন: মৎস্যজীবী হত্যায় অভিযুক্ত ইটালির নাবিকদের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট]
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী (Mayawati) এই মুহূর্তে যেন ‘না ঘর কা, না ঘাট কা’। ক্ষমতার ধারেকাছে তো তিনি নেইই, বিরোধী শিবিরে বসার মতো শক্তিও আর অবশিষ্ট থাকছে না তাঁর। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কার্যত বিজেপির ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করে আসছেন মায়াবতী। বিরোধী শিবিরের কোনও কর্মসুচিতে তিনি থাকেন না। বিজেপিকে আক্রমণ করার থেকে বেশি আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। আর বিজেপির প্রতি তাঁর এই নরম মনোভাবই বিরোধী শিবিরে মায়াবতীকে কোণঠাসা করে দিচ্ছে। অন্যদিকে অখিলেশ যাদবের পোয়াবারো অবস্থা। অখিলেশের দল সমাজবাদী পার্টি এমনিতেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রধান বিরোধী দল ছিল। এবার তাঁরা একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে আসার চেষ্টা করছে। যাতে বিরোধী ভোট ভাগ না হয়।